আবু সাইদ বিশ্বাস:সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় ইফটিজিং বন্ধ ও ক্লাস চলাকালি শিক্ষাথীদের কাউকে প্রতিষ্ঠানের বাইরে পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রলিশ প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানের ড্রেস পরিধান করে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকলে তাৎক্ষণিক শাস্তির আওতায় আনা হবে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাও করা হতে পারে । সাম্প্রতি জেলাতে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পার্ক,রেস্টুরেন্ট,হোটেল,স্টিডিও,বাগানবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে স্কুল,কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুরতে দেখা যায়। এতে উদ্বীগ্ন হয়ে পড়ে অভিভাবকরা। অনেকে আবার জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ ও করে।
এরই ধারা বাহিকতায় আজ মঙ্গলবার জেলা শহরের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টহল দেয় ডিবি পুলিশের কয়েকটি গ্রুপ। পুলিশ পোষাকের পাশা-পাশি সাধারণ ড্রেজেও মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। শহরের সরকারী বালিকা বিদ্যালয়,বালক বিদ্যালয়, টাউনর্গালস,সরকারী কলেজ,মহিলা কলেজ, নবারুন বালক বিদ্যায়সহ এর আশ-পাশ সড়ক ও ওলিগলিতে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটেরা পালিয়ে যায় বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান।
কর্তব্যরত ডিবি পুলিশ এসআই হাফিজ জানান, ক্লাস চলাকালি কাউকে প্রতিষ্ঠানের বাইরে পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিষ্ঠান চালাকালিন সময়ে প্রতিষ্ঠানের আশে-পাশে বখাটের দেখা পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার ব্যবস্থা করা হবে। উত্যক্তকারীদের ধরতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে গোপন নম্বর জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
শহরের নবারুন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, পুলিশ প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখা দরকার। এতে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাথীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে।
সাতক্ষীরা আয়েনউদ্ধীন মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুহুল আমিন জানান, ইফটিজিং বন্ধ ও বাল্য বিবাহ রোধে পুলিশ প্রশাসনের আরো কঠোর হওয়া দরকার। প্রতি নিয়ত যে ভাবে ছাত্রীরা বাল্য বিবাহের শিকার হচ্ছে সংকয় ফেলে দিয়েছে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে। ব্যাল্য বিবাহ রোধ করতে না পারলে শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের সফলতা ম্লান হয়ে যাবে।
আবু সাইদ বিশ্বাস;