ক্রাইমবার্তা রিপোটঃকলারোয়ার খোরদো বাওড় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শচীন চন্দ্র বিশ্বাসের উপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আশাশুনি- সাতক্ষীরা সড়কে খোরদো এলাকাবাসী এ কর্মসুচি পালন করে।
মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য দেন, খোরদো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুল বিশ^াস, সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত, রঘুনাথ খাঁ, জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ, সপন কুমার শীল, হিন্দু ব্যেদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা সদর শাখার সভাপতি নিত্যানন্দ আমিন, সাবেক ইউপি সদস্য মাধুরী বিশ^াস, দুলাল চন্দ্র বিশ^াস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কলারোয়া উপাজেলার খোরদো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ ১৯৭১ সালে নিবন্ধন হয়। ২৩/০৬/২০০৬ তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয় খোরদো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নামে দলুইপুর বাওড়ের ১৩৫ একর জমি ১০ বছরের ইজারা দেয়। তার পর থেকে শচীন চন্দ্র বিশ্বাস ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ওই সমিতির সদস্য। ২০১০-২০১১ সাল থেকে ১১৪ জন সদস্যদের নিয়ে বাওড়ের লভ্যাংশ বন্টনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল কিন্তু সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ারুল ময়না, খোরদো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, জয়, রিপন, কুদ্দুসসহ একটি চাঁদাবাহ সন্ত্রাসী চক্র সমিতির সভাপতি বাবুল বিশ্বাস ও শচীন বিশ্বাসসহ কয়েকজন সদস্যের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। প্রতিকার চেয়ে বাবুল বিশ্বাস গত ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। এ খবর জানতে পেরে ওই দিন রাত সাতটার দিকে খোরদো গ্রামের ব্র্যাক অফিসের সামনে মাসুমের চায়ের দোকানে বসে থাকাকালিন শচীন বিশ্বাসের কাছে দাবিকৃত চাঁদার টাকা চায় সেলিনা আনোয়ারুল ময়না, আব্দুল মান্নান, জয়, কুদ্দুস, রিপনসহ অজ্ঞাতনামা তিন জন। টাকার দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই সন্ত্রাসীরা শচীনকে লোহার রড দিয়ে ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করা হয়। বক্তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরঅবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একইসাথে যাতে ইজারা গ্রহীতারা শান্তিপূর্ণভাবে বাওড়ে মাছ চাষ করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।