কপোতাক্ষ পাড়ের হাজার হাজার জেলে জাল বুনে,নৌকা গড়ে দিন পার করছে

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা:   যৌবন হারিয়ে বার্ধক্য পার করতে দিন গুনছে কেশবপুর, তালা, পাইকগাছার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদ। এ নদের উপর নির্ভরশীল ছিলো কপোতাক্ষ পাড়ের হাজার হাজার জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। নিত্যদিন জীবিকা নির্বাহের এক মাত্র ভরসা ছিলো তাদের এ নদ। এ নদে জাল বেয়ে মাঝ ধরে ব্যস্ত সময় পার করতো তারা। সময়ের পরিক্রমায় এ নদ তার নব্যতা হারানোর ফলে কপোতাক্ষ পাড়ের হাজারও জেলে এখন বেকার সময় পার করছে। উপয়ান্ত না পেয়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে কপোতাক্ষ পাড়ের জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ জাল বুনে ও নৌকা গড়ে দিন পার করছে, কেউ কেউ অভাবের তাড়নায় সব হারিয়ে অনত্র চলে গেছেন, কেউবা আবার পৈত্রিক এ পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, পলি জমে নদের তলদেশ উঁচু হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের প্রায় ৩০ প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যার ভিতরে উল্লেখযোগ্য, মিনা মাছ, গুলি মাছ, কুচি মাছ ইত্যাদি। অন্যদিকে নব্যতা হারানোয় কপোতাক্ষের দু পাশেই পড়েছে ভূমি দস্যুদের ছোবল, চলছে ভূমি দখলের মহাউৎসব। গুণীজনরা বলছে কপোতাক্ষকে বাঁচাতে হলে আগে কপোতাক্ষকে দখল মুক্ত করতে হবে। অন্যথায় যা আমাদের এলাকার নিয়মে পরিণতে হয়েছে প্রতি বছর সে ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে এ অঞ্চলের সকলকে। বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরই কপোতাক্ষ পাড়ের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও এ পানি সরার কোন জায়গা নেই। নেই হাত বাড়ালেই উঁচু জায়গা পাবার আশা। বাধ্য হয়েই পানির ভিতরে বসবাস করতে হয় এসব অঞ্চলের মানুষের। যার ফলে নানান রকম পানিবাহিত রোগও দেখাদেয় কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের শরীরে। অজানা কতো শিশুরই মৃত্যু হয় এ পানিতে ডুবে। তবুও জন্ম স্থানের মায়া কেউ-ই ছাড়তে পারেনা। পারেনা ভিন্ন এলাকায় বসবাসের স্বপ্ন দেখতে।

কিনা রাম বিশ্বাস বলেন, আমি এখন নৌকা গড়ার কাজ করে দিন কোন রকম পার করছি। এক সময় এ কপোতাক্ষ নদে জাল বেয়ে দিন পার করতাম। ভালোই ছিলাম কিন্তু নদী ভরে যাওয়ার কারণে উপয়ন্ত না পেয়ে কাঠ মিস্ত্রীর কাজ শুরু করেছি।

Check Also

তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ-সমাবেশ

মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : তাবলীগ জামাতে সাদপন্থীদের বর্বোরিচত হামলার প্রতিবাদ ও সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।