নিজস্ব প্রতিনিধি: শহরের প্রাণ সায়ের খালধারের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। একই সাথে সাতক্ষীরার প্রাণ এই খালকে উন্মুক্ত ও দূষণমুক্ত করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল তার সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হ্্রাস পেয়েছে। ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবেশ বান্ধব সাতক্ষীরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এরই মধ্যে ‘ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রীন সাতক্ষীরা’ সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কারও নাম উল্লেখ না করেই বলেন, একটি মহল খালধারের দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে চায়। এমনকি ব্যবসায়ীরাও তাদের ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে প্রাণ সায়ের খাল রক্ষায় প্রশাসন কাজ করছে। প্রাণ সায়ের খালধারে দেওয়া দোকান বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য এরই মধ্যে সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা জরিপ করে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন জানিয়ে তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, পৌরসভা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী তাদের সরিয়ে অন্যত্র পূনর্বাসন করা হবে।
জেলা প্রশাসক তার স্বহস্তলিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, জেলার সব নদী খালের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। এসব জলাধার সংস্কার ও খনন পূন:খননে ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও টাকা বরাদ্দ আসবে বলে সরকারের অনুমতি পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে নদী খাল থেকে সকল নেটপাটা অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আমাদের অর্থনৈতিক শক্তি একথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার সকল অবৈধ চিংড়ি ঘের বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলায় জুয়া এবং ক্যারামের আড়ালে অবৈধ জুয়া বন্ধ করা হবে। এসব বিষয়ে তিনি সংবাদকর্মী ও জনগণের সহায়তা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলন তাদের মতামত এবং বিভিন্ন প্রশ্ন রেখে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাবেক সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল প্রমুখ।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ, সদর ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী,জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।