ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মো. হারুন অর রশিদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অপরাধে একই মাদ্রাসার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহসুপার মাওলানা আ. মান্নানকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন। শুক্রবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গুলিশাখালী দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মো. হারুন অর রশিদ ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহসুপার মাওলানা আ. মান্নানকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেকে পাঠান। তারা উভয়েই নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নির্বাহী অফিসার আসার অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ সেই দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। সেই মুহুর্তে নির্বাহী অফিসার তার কার্যালয়ে এসে দেখেন দু’জনে হাতাহাতি (মারামারি) করছেন।
এ সময় তিনি দু’জনকে সর্তক করে হাতাহাতি বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথা অমান্য করে তাঁর সামনেই ভারপ্রাপ্ত সুপার হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহসুপার আ. মান্নান শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৮৮ ধারায় আ. মান্নানকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, আমার কার্যালয়ে বসে দু’জনে মারামারি করেছে। আমি নিষেধ করার পরেও হারুন অর রশিদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আ. মান্নানকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০ দিনের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আ. মান্নানকে আমতলী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার) তাকে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য আ. মান্নান গুলিশাখালী দাখিল মাদ্রাসার সহসুপার থাকাকালে জালিয়াতি করে এডহক কমিটি গঠন, মাদ্রাসার তহবিল তছরুপের অভিযোগে ৫০ দিন কারাবাস করে সাময়িক বরখাস্ত হন। এ সব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছে।