মামলা সূত্রে জানা যায়, আব্দুল জব্বারের (৩৫) সাথে অ্যাড. শেখ আব্দুস সাত্তারের দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। এছাড়াও রামচন্দ্রপুর মৌজায় ৫ বিঘা জমির মাছের ঘেরে যেয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করতেন শেখ আব্দু সাত্তার। একপর্যায়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭ টার দিকে মাছের ঘের থেকে বাড়ি ফেরার সময় মৌখালী নামক স্থানে পৌছালে অ্যাড. আব্দুস সাত্তার, আব্দুল কাইয়ুম ও জাহিদ হাসান রিপন আব্দুল জব্বারকে ঘিরে ধরে আবারও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় উক্ত তিনজন তার নিকট থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বাকি ৩০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে মারপিট করে। এঘটনায় আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর: ১, তারিখ: ০২/১০/১৯ খ্রি.)। এর প্রেক্ষিতে থানার উপ-পরিদর্শক গোবিন্দ আকর্ষণের নেতৃত্বে পুলিশ বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৭ টার দিকে মামলার প্রধান আসামি অ্যাড. শেখ আব্দুস সাত্তারকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন চাঁদাবাজির অভিযোগে শেখ আব্দুস সাত্তারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অ্যাড. শেখ আব্দুস সাত্তারের শ্যালক সিরাজুল ইসলাম সাগর জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তার দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অহিংস রাজনীতির নজির রেখে চললেও কিছু সুবিধাভোগী নেতা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করে চলেছেন। তিনি এটাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা উল্লেখ করে এঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।