কথিত আছে যে, মেলাটি সনাতন ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শেষে পহেলা আশ্বিনে শুরু হয় আর দীর্ঘ একমাস ধরে মেলাটি চলে।
একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় করে শুরু হলে ও গুড় পুকুরে মেলায় সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। এখানে সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের জেলা থেকে ও গুড় পুকুরের মেলায় দর্শণার্থী এবং ক্রেতারা আসেন। এরমধ্যে নারী শিশু দর্শণার্থীর সংখ্যা বেশি। মেলায় রকমারি সব জিনিসপত্রের সমাহার যা সহজে মানুষকে আকর্ষণ করে। এরমধ্যে শিশুদের খেলনাসহ মহিলাদের মনোহরি সামগ্রীর সমাহার চোখে পড়ার মতো।
তবে সাতক্ষীরা ঐতিহ্যবার্হী গুড় পুকুরের মেলায় এক সময়ে যে সুনাম ছিল। তা আজ অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। কিছু দুষ্কৃতি মানুষের কারণে মেলার সে ঐতিহ্য আজ আর নেই বলে জানান দর্শণার্থীরা।
দর্শণার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের প্রাণের সাতক্ষীরা এবং সাতক্ষীরার ঐতিহ্য গুড় পুকুরের মেলাকে অতীতের মতো প্রাণবন্ত করে তুলতে চাই, এবং সাতক্ষীরাকে সারা দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই। এজন্য সাতক্ষীরার সব ধরনের বিলীন হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে নতুন করে প্রাণ দেওয়ার দাবি জেলাবাসির। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।