নিজেস্ব প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর,চাঁরাগাঁও,বালিয়াঘাট,টেকেরঘাট,চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাচাঁর করা হচ্ছে কয়লা ও চুনাপাথরসহ মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা,গরু,বিড়ি ও অস্ত্র। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে নামমাত্র অবৈধ মালামাল আটক করলেও সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারী ও চাঁদাবাদদের কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। এরফলে চোরাচালানীরা নিজেদেরকে বিজিবি,পুলিশ,র্যাব ও সাংবাদিকের সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে তাদের অবৈধ কর্মকান্ড ওপেন চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানায়,আজ ০৩.১০.১৯ইং বৃহস্পতিবার সকালে ৬টায় বালিয়াঘাট ও চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী আব্দুল আলী ভান্ডারী,রমজান আলী,জানু মিয়া,রুবেল মিয়া,খোকন মিয়া,সরাফত আলী ও রহমত আলী ভারত থেকে ১বস্তা কয়লা পাচাঁরের জন্য ১২০টাকা,১কার্টন মদ থেকে ৮শত টাকা,১হাজার পিছ ইয়াবা থেকে ৫০হাজার টাকা, ১কেজি গাঁজা থেকে ২হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২০মে.টন কয়লা সাথে বস্তার ভিতরে করে বিপুল পরিমান মদ,গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে মজুত করে রাখে। এখবর পেয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার শাকিল মোরশেদ মদনপুর নামক গ্রামের হীরা মিয়ার বাড়ির সামনে পাটলাই নদীর তীরে মজুদ করে রাখা ২মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করেন। এছাড়াও চাঁরাগাঁও সীমান্তের ১১৯৪এর ৩এস পিলার সংলগ্ন লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স ল্যাংড়া বাবুল ও আলকাছ মিয়া বিজিবি কাম্পের নামে ১বস্তা কয়লা থেকে ১০০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রতিদিন রাতে শতশত মে.টন কয়লার সাথে মদ,গাঁজা,হেরুইন ও ইয়াবা পাচাঁর করছে। সম্প্রতি চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট গ্রামের আমির আলীর বাড়ি থেকে সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারী,রমজান মিয়া ও সরাফত আলীর পাচাঁরকৃত ১০কেজি গাঁজা আটক করে হাবিলদার মোকলেস। কিন্তু থানায় ১কেজি গাঁজা দিয়ে মূল অপরাধীদের বাদ দিয়ে নিরপরাধ লোকজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া গত ৩০.০৯.১৯ইং রবিবার বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের সুন্দরবন এলাকা দিয়ে সোর্স মস্তফা মিয়া মস্তু ও মঞ্জুল মিয়া ভারত থেকে প্রায় ২০মে.টন চুনাপাথর অবৈধ ভাবে পাচাঁর করে রংগাছড়া গ্রামের মস্তাফা মিয়ার বাড়ির পিছনে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে বিজিবি অবৈধ চুনাপাথর আটক করার পর রহস্য জনক কারণে আবার ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে চাঁনপুর সীমান্তে প্রায় ৮লক্ষ টাকার মদ ও গাঁজার চালান বিজিবি আটক করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি এবং এই সীমান্তের রাজাই,কড়ইগড়া ও বারেকটিলা দিয়ে সোর্স আবু বক্কর ও রফিকুল গং বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১টি গরু থেকে ২হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রতিরাতে শতশত গরু ভারত থেকে পাচাঁর করলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়না। অন্যদিকে লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী ও সাহিদাবাদ এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কয়লা,মদ ও ইয়াবা পাচাঁর করা হচ্ছে। সম্প্রতি ইয়াবাসহ সোর্স রফিকুল ইসলাম নবীকুলকে গ্রেফতার করলেও চিহ্নিত চোরাচালানীরা বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানতে চাঁরাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মোকলেসের সরকারী মোবাইল নাম্বারে কল করলে তিনি বলেন,মোবাইলে সব কথা বলা যাবে না এব্যাপারে জানতে হলে কাম্পে এসে কথা বলুন। বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ফরিদ বলেন,আটককৃত পাথরের বিষয়ে আপনাকে পরে সব জানাব। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদল আলমের সরকারী মোবাইল নাম্বারে(০১৭৬৯-৬০৩১৩০) বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …