মিছিলশেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী আহমেদ বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তির দাবীতে ছাত্রদলের এই বিশাল মিছিলের আওয়াজ স্বৈরাচারের বক্ষে কম্পন ধরাবে। এভাবে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসলে এই নিষ্ঠুর স্বৈরসরকারের পতন হতে আর বেশী সময় লাগবেনা।
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী সফর নিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, আগের সফরে প্রধানমন্ত্রী তিস্তার আধা লিটার পানিও আনতে পারেন নাই। সমতার ভিত্তিতে আদায় দূরে থাক ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনা একটা কানাকড়িও আদায় করতে পারেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজমুখেই বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে অনেক কিছুই দিয়েছি।’ কিন্তু কি দিয়েছেন তা জনগণ এখনও জানেনা।
জনগণ শুধু জানে ভারত থেকে কিছু আদায় করতে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, কোন কোন মন্ত্রী অতি উৎসাহী হয়ে বলছেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী কিংবা ভাই-বোনের। কিন্তু কে স্বামী কে স্ত্রী বা কে বোন কে ভাই সেটি উল্লেখ করেননি-জনগণও এটি জানতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে সমতার ভিত্তিতে লেনদেন সম্ভব। কিন্তু নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করলে কেউই পাত্তা দেয়না।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে শেখ হাসিনার “নো কম্প্রোমাইজ” বলাতেই প্রমাণিত হয় বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার জেদ ও প্রতিহিংসার কারণেই কারাগারে বন্দী হয়ে আছেন। সেক্ষেত্রে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া কেবল মুখোশমাত্র। বেগম খালেদা জিয়ার বিয়োগান্তক পরিণতি না ঘটানো পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা পূরণ হবেনা। একারণেই বিনা অপরাধে বেগম জিয়াকে ধুকে ধুকে মারার জন্য তাঁকে বন্দী করে ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুর ছক আঁটা হচ্ছে। তবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর শর্তই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। একারণেই তরুণদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রাজিব আহমেদ, সহ-সভাপতি মাহামুদুল হাসান বসুনিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ রানা সহ বিভিন্ন থানা ও কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতাকর্মী।