ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শনিবার দুদেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। উদ্বোধন হয়েছে তিনটি যৌথ প্রকল্প।
নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেষে দুদেশের মধ্যে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে চুক্তি সই ও চুক্তিপত্র বিনিময় হয়।
এছাড়া হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে তিনটি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে হায়দ্রাবাদ হাউসে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে দুদেশের নেতাদের মধ্যে একটি ব্যক্তিগত বৈঠক হয়।
এদিকে শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়ার বিষয়টি পুর্নব্যক্ত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘প্রাণবন্ত কথোপকথন’ হয়েছে।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রিভা দাশ গাঙ্গুলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি ফোরামে (ডব্লিউইএফ) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াদিল্লী পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নয়াদিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনার দিল্লী পৌঁছানোর ছবিসহ একটি টুইট বার্তা প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, কৌশলগত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ-ভারত (বহুমুখী সম্পর্ক) বিনিময় করছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে শনিবার সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ
কানেকটিভিটি বা সংযুক্তি ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আজ ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউজে বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময়ে ৬ থেকে ৭টি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভিশ কুমার সাংবাদিকদের বলেছেন, কানেকটিভিটি, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ের ওপর ওই সমঝোতা স্বারক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে এই দু’নেতার সাক্ষাতের এক সপ্তাহ পর আজকের এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, আজকের বৈঠকের মুলে থাকবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও উন্নত করা। ভারত ও বাকি বিশ্বের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উন্নত করা।
অন্যদিকে বাংলাদেশী একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে। তবে এর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক রয়েছে। অবশ্যই এটা কোনো দ্বিপক্ষীয় সফর নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আসামের এনআরসি নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। মোদির সঙ্গে তিনি সর্বশেষ যে বৈঠক করেছেন সেখানে তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন মোদি। এতে তিনি সন্তুষ্ট। গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে এই দুই নেতার সর্বশেষ বৈঠক হয়। সেখানে মোদিকে হাসিনা বলেছেন, এনআরসি বাংলাদেশের জন্য একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। জবাবে মোদি বলেছেন, যেহেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভাল সম্পর্ক বিদ্যমান তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এ সময় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কাছে জানতে চায়, তিনি কি মোদির নিশ্চয়তায় সন্তুষ্ট। জবাবে হাসিনা বলেন, অবশ্যই।
এখানে উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার দিল্লিতে দর্শক শ্রোতাদের এ বিষয়ে হাসিনা বলেছেন, এতে বাংলাদেশের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদি এমন পদক্ষেপ নেয়ার আগে নয়া দিল্লি ঢাকাকে অবহিত করতো তাহলে তা হতো সহায়ক। বাংলাদেশে পিয়াজের দাম আকাশ ছুঁইছে। এক পর্যায়ে হাসিনা বলেন, তিনি তার রাঁধুনিকে বলে দিয়েছেন রান্নায় পিয়াজ ব্যবহার না করতে।