ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ গতকালই গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া থেকে হলে ফিরেছিলেন বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ (২১)। এরপর রাতেই পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। আজ ভোরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু মৃত্যুর এই খবর সরাসরি দেয়া সম্ভব হয়নি আবরার ফাহাদের স্বজনদের। তার অসুস্থতার কথা বলে ডেকে আনা হয় তাদের। এরপর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো তারা দেখতে পান তাদের ফাহাদের লাশ। ফাহাদকে দেখতে আসা তার এক আত্মীয় এমনটাই জানান গণমাধ্যম কর্মীদের।
অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে ফাহাদের দূরসম্পর্কের মামা মোস্তাফিজুর রহমান ভাগ্নেকে দেখতে আসেন ভোরেই।
তিনি বলেন, ফাহাদ খুবই ভালো ছেলে। সে গতকালই বাড়ি থেকে ঢাকায় এসেছে। তার কোনো শক্র থাকতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। আমি ভোর পাঁচটার দিকে খবর পেয়ে এখানে ছুটে এসেছি। আমাদের বলা হয়েছিল ফাহাদ অসুস্থ। কিন্তু এখানে এসে তার লাশ দেখতে পাই। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে।
নিহত ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা রোডে। বাবার নাম বরকত উল্লাহ। তিনি বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলের ছাত্র আবরার ফাহাদের (২১) লাশ আজ ভোরে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যার আলামত পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে রোববার রাতে তাকে ছাত্রলীগ নেতারা একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করে। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ওই কক্ষে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চলে।