ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ যশোরের ঝিকরগাছা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আলোচিত কেরানি রবিউলকে পৌনে দুই লাখ টাকাসহ আটক করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রি অফিসে আড়াই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে রবিউলকে আটক ও ওই টাকা উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টানা দুই ঘণ্টার তল্লাশিতে অফিসে পাওয়া যাচ্ছিল না ঘুষের টাকা। পরে অফিস সহকারী রবিউল ইসলামের টিফিন বক্সের ভেতরে পাওয়া যায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। আর অফিসের রাজস্ব বক্সে পাওয়া যায় নগদ ৪২ হাজার টাকা।
উদ্ধারকৃত টাকা ‘ঘুষের’ বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুস সায়াদাত সাংবাদিকদের জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা ঝিকরগাছায় অভিযান চালান। এ সময় রেজিস্ট্রি অফিসের কেরানি রবিউলকে আটক করা হয়। আটকের পর রবিউলের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৭ টাকা এবং অফিস থেকে আরও ৪২ হাজার ২৬৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।
৪২ হাজার ২৬৫ টাকা অফিসের দাবি করলেও ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৭ টাকার কোনো হিসাব তিনি দিতে পারেননি। তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যায় দুদকের অভিযান টের পেয়ে আরেকটি টাকার ব্যাগসহ জহুরুল মহুরি নামে একজন সরে পড়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ঝিকরগাছা রেজিস্ট্রি অফিসে কেরানি রবিউলের নেতৃত্বে একটি ঘুষ সিন্ডিকেট খুব বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। এ নিয়ে প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হয়ে চলেছেন সাধারন মানুষ এবং মুহুরিরাও।
কেরানী রবিউলের সিন্ডিকেটে ঘুষের দুটি ভাগ করা ছিল। যার একটি পার্টেও ঘুষের টাকা থাকে কেরানী রবিউলের কাছে এবং অপর পার্টটি থাকে জহুরুল মহুরীর কাছে। আটক কেরানী রবিউল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহুরুলের কাছে অপর একটি অংশের ঘুষের টাকা থাকার কথা স্বীকার করেন।
প্রতি সপ্তাহে তিনদিন এভাবে ঘুষের টাকা সপ্তাহে কমপক্ষে ওই দুজনের কাছে জমা হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৭ লাখ টাকা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে কেরানী রবিউল দুদক কর্মকর্তাদের কাছে ঝিকরগাছায় তার ও জহুরুলের নিকট থেকে ওই ঘুষের টাকায় ভাগ নেয়া কয়েকজনের নাম প্রকাশ করলেও দুদক কর্মকর্তারা তদন্তের স্বার্থে নামগুলি বলতে রাজি হননি।