নিজস্ব প্রতিনিধি : ইট দেওয়ার শর্তে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে অগ্রিম ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে সাতক্ষীরার বিনেরপোতা ইটভাটা মালিক শহিদুল ইসলাম ইট বা টাকা কোনটাই না দিয়ে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, ভুক্তভোগী তিন জনের পক্ষে তালা উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের শরাফুদ্দিন মোড়লের ছেলে দেলোয়ার মোড়ল।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমিসহ একই উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের মোস্তফা কামাল ও হাবিবুল ইসলাম ইট ক্রয় করে পরবর্তীতে তা লাভে বিক্রয়ের জন্য ব্যবসা শুরু করি। এক পর্যায়ে গত সাত মাস পূর্বে কমদামে ইটক্রয়ের উদ্দেশ্যে শহরের কাটিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন খেজুরডাঙ্গি এলাকার মেসার্স এম.পি ব্রিকস নামক ইটভাটায় আমরা তিনজনে বিভিন্ন এনজিও ও কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ করে ১০লক্ষ টাকা নিয়ে অগ্রিম জমা দেই। টাকা জমা দেয়ার সময় শহিদুল ইসলাম তার স্বাক্ষরিত ৪টি চেকের পাতা টাকা উল্লেখ পূর্বক আমাদেরকে তিনি প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে যখন ভাটায় ইটপ্রস্তুত হলো তখন শহিদুল ইসলাম আমাদের বলেন, ইট দিতে গেলে অনেক সমস্যা হচ্ছে, আমি তোমাদের টাকা ফেরত দেবো। কিন্তু ৭ মাস অতিবাহিত হলেও তিনি আমাদের ইট বা টাকা কোনটাই না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। বর্তমানে আমরা ইট বা টাকা কোনটা না পাওয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি উল্লেখিত শহীদুল ইসলাম তার ইটভাটাটি অন্যত্র বিক্রয় করে দিয়েছেন। অথচ আমাদের টাকা পরিশোধ করছেন না। তার কাছে টাকা চাইতে গেলে বার বার তিনিই টালবাহানা করে টাকা দেয়া নামে বিভিন্ন দিন দিচ্ছেন। কিন্তু টাকা দিচ্ছেন না। এমতাবস্থায় তারা উক্ত শহীদুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মোস্তফা কামাল ও হাবিবুল ইসলাম।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …