ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে সাতক্ষীরায় কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখা।
রবিবার বিকেলে শহরের নবারুন স্কুল মোড় বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।পরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মুহাদ্দিস মোস্তফা শামছুজ্জামান। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ এর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে এবং আর কোন ছাত্রকে যেন এভাবে জীবন দিতে না হয় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এ দেশে সকলের কথা বলার সমান অধিকার থাকতে হবে। বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কোন প্রকার সিদ্ধান্ত দেশের জনগন মেনে নিবে না। দূর্নীতি, মাদক, জুয়া, সন্ত্রাস, ধর্ষন সহ সকল অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে ফিরে ইসলামের ছায়াতলে এসে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ শহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মোঃ ওয়েজ কুরনী, ইসলামী যুব আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মুবাশশীরুল ইসলাম (তকী), ই.আ.বা. শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি মাওঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, ই.আ.বা. দেবহাটা সভাপতি মুফতি মুবাশ্বের হুসাইন আলমগীর, ই.আ.বা. কালিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মোঃ ওয়েজুর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা দক্ষিণ সভাপতি মোঃ মাছুদ রানা, মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোঃ খায়রুল ইসলাম, মোঃ তোছাদ্দেক হোসেন খোকা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলটি নবারুন স্কুল মোড় হতে তুফান কোম্পানি মোড় হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে এসে মিলিত হয়। নিউমার্কেট মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং পুনরায় নবারুন মোড়ে এসে দোয়া মুনাজাত এর মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ ছারোয়ার আলম।
কর্মসূচিতে আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে নেতারা বলেন, দেশে নৃশংস হত্যাকান্ড এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ত্বকী, বিশ্বজিৎসহ অনেককে এভাবে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এসব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় আজ আবরার ফাহাদকে মরতে হলো। বক্তারা এ সময় আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসির জোর দাবী জানান।
উল্লেখ্য:ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে গত রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন