ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ অসহায় পরিবারের গৃহবধু নিলুফা ইয়াসমিন। দারিদ্রতার কারণে অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একটি ছাগল পালন করছিলেন। ভেবেছিলেন ছাগলটি বিক্রি করে সংসারের জিনিসপত্র কিনবেন। তবে তার আশাপূরণ করতে দিল না তালা থানা পুলিশ। ছাগলটি নাকি থানা পুলিশ বনভোজন করে খেয়ে ফেলেছেন। ছাগল হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিলুফা।
নিলুফা ইয়াসমিন (৩৫) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের কাজেম সরদারের মেয়ে ও একই উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী।
নিলুফা ইয়াসমিন জানান, আমি অন্যের জমিতে পানের বরজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। স্বামী ঢাকাতে রিক্সা চালায়। আমি বাবার বাড়ি ইসলামকাটিতে থাকি এখন। একটি মাত্র ছাগল পুষেছিলাম। ছাগলটি বিক্রি করে সংসারের কিছু জিনিসপত্র কিনবো ভেবেছি। কিন্তু সেটি আর হলো না। গত রোববার দুপুরের দিকে ছাগলটি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করে জানতে পারি ছাগলটি ইউনিয়নের চৌকিদার সাহাবুদ্দিন নিয়ে গেছে। পরে জানতে পারি ছাগলটি থানায় দিয়ে এসেছে।
অসহায় ওই মহিলা আরও জানায়, থানায় কোনদিন যায়নি। ভয়ে ভয়ে আজ বুধবার সকালে থানায় গিয়েছিলাম। সেখানে কনস্টেবল জানিয়েছে, দারোগা অনেকজন নাম বলেন কোন দারোগা তবে আপনার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিবো। কিন্তু আমি নাম বলতে পারিনি। এরপর ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে ফিরে চৌকিদার সাহাবুদ্দিনকে ছাগলের বিষয় জানতে চাইলে সে বলে, ছাগল থানা পুলিশের লোকজন বনভোজন করে খেয়ে ফেলেছে। তুমি থানায় গেলে তোমাকে আরও জরিমানা দিতে হবে কিন্তু।
কান্না জড়িত কণ্ঠে নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, দুই মাস আগে ছাগলটির দাম ৭ হাজার টাকা বলেছিল আমি বিক্রি করিনি। এখন আমার বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
এ বিষয়ে ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার সাহাবুদ্দিন বলেন, ছাগলের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
জানেন না তবে মহিলাকে এসব বলেছেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার এখানে এসে কান্নাকাটি করছিল। তখন দুইজন মেম্বরকে বলেছি। থানার কোন কথা আমি বলিনি।
এদিকে, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, থানায় কেউ কোন ছাগল জমা দেয়নি বা বোনভোজনের কোন ঘটনাও ঘটেনি। চৌকিদার যদি এসব বলে থাকে তবে সেই হয়তো কিছু একটা করেছে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে
—০———-
বনভোজন করে ছাগল খাওয়ার খবর সঠিক নয়—-তালার ওসি মেহেদী রাসেল
বনভোজন করে অসহায় নিলুফার ছাগল খেয়ে ফেলেছে পুলিশ শিরোনামে দৈনিক সাতনদী পত্রিকা সহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে সাংবাদিককে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। তালা থানায় কেউ কোন ছাগল জমা দেয়নি বা বনভোজনের কোন ঘটনাও ঘটেনি। আমি প্রকাশিত মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সংবাদকর্মীদের সঠিক ও তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী:
মেহেদী রাসেল
অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
তালা থানা, সাতক্ষীরা।