বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে গঠিত অনুসন্ধান দলের প্রধান ও দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম তাঁদের তলব করে চিঠি পাঠিয়েছেন। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যাঁদের তলব করা হয়েছে তাঁরা হলেন গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. আবদুল মালেক, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ইমদাদুল হক, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ল্যাব সহকারী আবদুল হালিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সচিব আনোয়ার হোসেন, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইপিআইয়ের হিসাবরক্ষক মজিবুর রহমান মুনশি ও ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সায়েম মো. ইমদাদুল হক সাদেক।
দুদক জানিয়েছে, এসব কর্মকর্তা–কর্মচারীর মধ্য প্রথম তিনজনকে ২২ অক্টোবর, পরের তিনজনকে ২৩ অক্টোবর এবং শেষের ৩ জনকে ২৪ অক্টোবর দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে ওই ৯ জনকে দুদকে হাজির করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। দুদকে উপস্থিত হওয়ার দিন সংশি¬ষ্ট ব্যক্তিদের নিজের, স্ত্রী ও সন্তানদের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, পরিচয়পত্র না থাকলে জন্মনিবন্ধন সনদ এবং আয়কর রিটার্নের অনুলিপি নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।
একজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা: রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় বক্ষবিধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক। দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলমের সই করা চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছে, অভিযোগসংশি¬ষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তাঁর বিদেশযাত্রা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে দুদক।