ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ জেলা প্রশাসকের কাছে ‘ঘুষ’ চেয়ে চাকরি হারানো সাতক্ষীরার সেরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মোকলেস আলী উধাও।আজ সকাল থেকে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সকালে আত্নীয়র বাড়িতে বেড়াতে গেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জমির নামজারি করাতে কাগজপত্র নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান ফাহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
জমির নামজারি ফি ১ হাজার ১৭০ টাকা হলেও তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন ভূমি কর্মকর্তা মোকলেস আলী।
পরে ফাহাদ হোসেন বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানান। ঘটনা শুনে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল পরিচয় গোপন করে ভূমি কর্মকর্তা মোকলেস আলীকে ফোন করেন।
ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে ডিসি ভূমি কর্মকর্তার কাছে জানতে চান খরচ কম নেবেন কি-না। তখন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভূমি কর্মকর্তা ডিসিকে জানিয়ে দেন এক টাকাও কম হবে না।
ফাহাদ হোসেন বলেন, নিজেদের জমির নামজারি করাতে কাগজপত্র নিয়ে ভূমি অফিসে যাই। অফিসে যাওয়ার আগে আমি বাইরের সাইনবোর্ডে দেখি, সব মিলিয়ে খরচ ১ হাজার ১৭০ টাকা। কিন্তু ভূমি কর্মকর্তা মোকলেস আলী আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসককে জানাই।
তিনি আরও বলেন, পরিচয় গোপন করে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষের টাকা কম দেয়ার ব্যাপারে কথা বলেন ডিসি। চার হাজার টাকায় কাজটি করে দেয়া যাবে কিনা এমন অনুরোধ জানানো হয়। পরে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানিয়ে দেয়া হয় এক টাকাও কম হবে না।
এরপর ডিসি ভূমি অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম পাঠান। এ ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তা মোকলেস আলীকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মোকলেস আলীকে বরখাস্ত করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে ধুলিহর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মোকলেস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত মাস তিনেক আগে একই জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে সাতক্ষীরা শ্রেষ্ঠ ইউনিয় ভূমি সহকারীর পুরস্কার পান মোকলেস আলী। এর আগে ২০১৭ সালেও তিনি শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন ভূমি সহকারীর পুরস্কার লাভ করেছিলেন।