ভোলার বোরহানউদ্দিনে স্থানীয়দের সাথে পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনায় নিহত-আহতদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভোলার বোরহান উদ্দিনে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক হিন্দু যুবকের নিজ ফেসবুকে মহান আল্লাহ তায়ালা ও রাসূলকে (সা.) নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার প্রতিবাদে, আপামর তৌহিদী জনতার আয়োজিত এক সমাবেশে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত এবং দেড় শতাধিক লোক আহত হওয়ার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। এই ঘটনায় বাংলাদেশের জনগণ বিক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। ’
আযাদ বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ সরকার মহান আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) অবমাননাকারী ব্যক্তিদের বিচার করার পরিবর্তে তাদের রক্ষার জন্য মুসলমানদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা ও আহত করছে। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশের সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের ন্যক্কারজনক গর্হিত আচরণ কেউই আশা করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে মুসলমানরা কখনো হিন্দু বা অন্য কোনো সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ব্যাপারে কটূক্তি করে না। অথচ একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকেরা মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতির ওপর আঘাত দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এ ধরনের উস্কানিমূলক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ এবং সচেতন হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সে জন্য সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থেই এ দুঃখজনক ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ভোলার বোরহান উদ্দিনের বিপ্লব চন্দ্র শুভসহ এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।’