২১টি সন্তানের জনক জননীর পরিবার

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ  রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত ছবিটি দেখুন তো ভাল করে! কিসের ছবি বলতে পারেন! কোনো স্কুলের ছবি এটা? যদি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ভুল। আসলে ছবিটি একটি পরিবারের। যেখানে আছেন পিতামাতা ও শুধুই তাদের সন্তানরা। এটি হচ্ছে বৃটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের ছবি। এ পরিবারের প্রধান নোয়েল র‌্যাডফোর্ড (৪৮) আর তার স্ত্রী সু র‌্যাডফোর্ড (৪৪)। এরই মধ্যে তারা ২১টি সন্তানের জনক জননী। ২০১৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন আর সন্তান নেবেন না। কিন্তু সেই কথা রাখতে পারেন নি তারা।

সু র‌্যাডফোর্ড আবার অন্তঃসত্ত্বা। তিনি ২২ নম্বর সন্তান প্রসব করতে যাচ্ছেন। এই সন্তানের আগমন বার্তা তারা ইউটিউবে একটি ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে জানিয়েছেন। এতে আল্ট্রাসাউন্ডের একটি ভিডিও দেয়া হয়েছে। সু র‌্যাডফোর্ড বলেছেন, তিনি ১৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এখনও গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয় নি। আগামী এপ্রিলে তিনি এই সন্তান প্রসব করতে চলেছেন। চাইছেন, এবার যেন একটি টুকটুকে পুত্র সন্তান হয়। বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ কথা বলা হয়েছে।


বৃটিশ এই দম্পতির বাড়ি ল্যাঙ্কাশায়ারের মোরেক্যাম্বে। এই পরিবারের প্রধান নোয়েল র‌্যাডফোর্ড বেকারি ব্যবসা করে সংসার চালান। সেখান থেকেই এত্ত বিশাল একটি পরিবারের ভরণপোষণ করতে হয়। ১০টি বেডরুমের বাড়ির খরচ মেটাতে হয়। ২০০৪ সালে তারা এই বাড়িটি কিনেছেন দুই লাখ ৪০ হাজার পাউন্ডে। সপ্তাহে শিশুদের জন্য সরকারি ১৭০ পাউন্ড সহায়তা পান। নোয়েল র‌্যাডফোর্ড নবম সন্তানের পিতা হওয়ার পর আর সন্তান চাইছিলেন না। এ জন্য তিনি বন্ধ্যাত্বকরণে ভ্যাসেক্টমি পদ্ধতি অবলম্বন করেন। পরে তারা আরও সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ভ্যাসেক্টমি পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসেন।

এ দম্পতির সর্বশেষ সন্তানের মধ্যে বোনি রায়ের জন্ম ২০১৮ সালের নভেম্বরে। অন্যরা হলো ক্রিস (৩০), সোফি (২৫), ক্লোই (২৩), জ্যাক (২২), ডানিয়েল (২০), লুক (১৮), মিলি (১৭), কেটি (১৬), জেমস (১৫), ইলি (১৪), আইমি (১৩), যোশ (১২), ম্যাক্স (১১), টিলি (৯), অস্কার (৭), ক্যাসপার (৬), হ্যালি (৩), ফোয়েবে (২) এবং আরচি (১৮ মাস)। এর মধ্যে ক্রিস ও সোফি ছাড়া বাকি সবাই পিতামাতার সঙ্গে বসবাস করে। অন্যদিকে সোফির রয়েছে তিনটি সন্তান। খাবারের পেছনে সপ্তাহে তাদের খরচ করতে হয় ৩৫০ পাউন্ড। আর প্রতিদিন বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে রাতে তিন ঘন্টা ব্যয় করতে হয়। যদি পরিবারকে কোনো নৈশভোজে বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যান তাহলে র‌্যাডফোর্ড দম্পতিকে কমপক্ষে ১৫০ পাউন্ড খরচ করতে হয়।

আর যদি কোনো অবকাশ যাপনে যেতে চান তাহলে তাদেরকে কাপড়চোপড় ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র বহন করতে হয় কমপক্ষে ৭টি সুটকেসে। আর কাপড় কাচার বিষয়! তা তো অনবরত চলতেই থাকে। সপ্তাহের প্রতিদিন এ বাড়িতে ১৮ কেজি কাপড় ধোয়া হয়।  এরই মধ্যে এই পরিবার এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবকাশ কাটিয়ে এসেছে। আবার পরিকল্পনা করছে নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার জন্য। কিন্তু প্যাকিং অপারেশনকে সামরিক প্রস্তুতির সঙ্গে তুলনা করেছেন সু র‌্যাডফোর্ড। কারণ, সন্তানদের কোন পোশাক সঙ্গে নেবেন তা তাকে বাছাই করতে হয়। তাদেরকে বোঝাতে হয় কোন কাপড়টি ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে হবে তা বোঝাতে হয়।

Check Also

ঘোনা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

আবুল হোসেন সদর প্রতিনিধি : ঘোনা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।