ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডেইলি নিউ নেশন পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি মুনির উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত গভীর রাতে তাকে নগরীর দোলখোলাস্থ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে খুলনা সদর থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে খুলনা সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভোলার ঘটনাসহ কয়েকটি বিষয়ে ফেসবুক পোস্টের কারণেই খুলনা সদর থানার এসআই শরিফুল আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন এসআই মো. সাইদুর রহমান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক মুনির উদ্দিন আহমেদ তার ফেসবুক আইডিতে ভোলার ঘটনা নিয়ে দেয়া পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বিজ্ঞ আইজিপি সাহেব বলবেন কি আপনার অধীন ভোলার গুলিবর্ষণরত এই পুলিশের লাইন অব ফায়ার কি ছিল? শরীরের নিচের অংশ না ফাঁকা গুলি। কত ধাপ পার হওয়ার পর পুলিশ শেষে গুলি করতে পারে ? একজন পুলিশও যেখানে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে কোন টিভি চ্যানেল দেখায়নি। তবে কেন গুলি? ছত্রভঙ্গ করতে মাথা বুক লক্ষ্য করে গুলি করার আইন কি আছে? গুলি করতে আজকাল কি ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি দরকার হয় না? আজ হয়তো বা আপনি জবাব দেবেন না। তবে একদিন আপনাকে ভোলার পাঁচজন প্রতিবাদী মুসলমানকে হত্যার দায় নিয়ে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সে দিন বেশি দূরে না। আর কেয়ামতের দিন তো অবশ্যই আপনাকে এই হত্যার দায় নিতে হবে।’ এ ছাড়া তার আইডি থেকে ফিলিস্তিনে ইসরাইলে হত্যাকা-সহ একাধিক পোস্ট দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাইদুর রহমান বলেন, তার ফেসবুক স্ট্যাটার্স ছিল উস্কানিমূলক। তার কাছ থেকে আরো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, ফেসবুকে ভোলার ঘটনার সাথে পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি পোস্ট দিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছেন। যা আইনত অপরাধ। যে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেএমপির খুলনা জোনের এডিসি শাকিলুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক মুনির উদ্দিন আহমেদ তার ফেসবুক আইডি থেকে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœসহ একাধিক আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।