ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ আশাশুনির খাজরায় অসহায় ভূমিহীনদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করাসহ পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর প্রতিবাদে ও নায়েব ইয়াছিনুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খাজরা ইউনিয়ন ভূমিহীন কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধার আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দিনেশ চন্দ্র মন্ডল। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য স্বপন ম-ল, তহমিনা বেগম, আবু রায়হান, রিপিয়ান ইসলাম, রমেছা বেগম, রাবেয়া খাতুন, রিপন সরদার প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, খাজরার ঘুষখোর নায়েবের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে আমরা অতিষ্ঠ। সে টাকা ছাড়া আর কিছুই চেনেন না। তার ডিসিআর কাটতে গেলে টাকা, মিউটেশন করতে গেলে টাকা। রায়হান সরদার বলেন, ডিসিআর দিবে বলে আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে জমি তো দেয়নি বরং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তার মামলা থেকে ক্যান্সারের রোগি আবুল কালামও বাদ যায়নি। এই নায়েব তঞ্চকিপূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পাপিয়া আক্তারকেও ভূমিহীনদের কাছে বিতর্কিত করে তুলেছেন। রমেছা খাতুন বলেন, আমার স্বামী কখনও ইটভাটায়, কখনও জঙ্গলে কাজ করেন। বাঘের মুখ থেকে টাকা এনে নায়েবকে টাকা দিয়েছিলাম সরকারি ডিসিআর পাব বলে। কিন্তু উনি টাকা নিয়েও ডিসিআর দেননি। তাছাড়া উনি মহিলাদের সাথে খারাপ আচারণ করেন। রাবেয়া খাতুন ঠিক একই প্রকৃতির বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযোদ্ধা দিনেশ চন্দ্র ম-ল জানান, দুর্গাপুর মৌজায় সাবেক ১৪০ দাগে মোট ৫.১৪ একর জমির মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ জমি ভিপি খতিয়ানে ও এক ভাগ জমির এসএ রেকর্ডীয় মালিক হরেন্দ্র নাথ গং। আমি এসএ রেকর্র্ডীয় মালিকের কাছ থেকে ১.১২ একর জমিসহ অন্যান্য ১৭০ ও ১০৮ দাগে মোট ১.৩৫ একর জমি ক্রয় করে দখলে আছি। ওই ঘুষখোর নায়েব এসএ রেকর্ডীয় নি:সন্তান মালিক কয়রা থানার চ-িপুর গ্রামের প্রমোথ হালদারকে লাওয়ারিশ দেখিয়ে ১২০ ধারা মোতাবেক খাস ঘোষণা করে আমার দখলীয় জমি ডিসিআর দিয়েছেন। সেখানে একসনা ডিসিআর প্রাপ্ত জনৈক ছাইফুল ঘর বেঁধে বসবাস করছে। যুবলীগ নেতা রিপিয়ান বলেন, দুর্নীতিবাজ এই নায়েব পিরোজপুর গ্রামের মিজানুর রহমানকে ৬১৭ দাগে ৫০ শতক জমি ডিসিআর দিতে ১২ হাজার টাকা, আব্দুল মালেক গাজীর কাছ ৪৫৬ দাগে ১.০০ একর জমির ডিসিআর কাটতে ৮ হাজার টাকা, পিরোজপুর গ্রামের শামীম সানার কাছ থেকে ৩৩ শতক জমির নামপত্তন করতে ৯ হাজার ৬ শ’ টাকা নিয়েছেন। সোমবার বেলা তিনটা পর্যন্ত নায়েব অফিস বন্ধ ছিলো। যেটা নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তার চাকরি আর বেশি দিন নেই বলে মাঝে মাঝে রাত ১০টা পর্যন্ত টাকা পয়সা নিয়ে অবৈধ কাজ করবে বলে অফিস খোলা রাখে। সঠিক তদন্ত পূর্বক ঘুষখোর এই নায়েবের বিচার ও ভূমিহীনদের নামে তার দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মানববন্ধন শেষে উপস্থিত শতশত ভূমিহীন নারী-পুরুষ দুর্নীতিবাজ নায়েব কে দ্রুত অপসারণের দাবিতে ঝাটা উচিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
Check Also
সাতক্ষীরায় ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তবে এসময় …