ক্রাইমবার্তা ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ২০১৯ সাল এই সরকারের জন্য একটা ব্যাড লাক। কারণ হলো, এই সরকার সত্যিকার অর্থে সংবিধানসম্মত নির্বাচিত সরকার নয়। আর গত ২৯ ডিসেম্বর একটা সিভিলিয়ান ক্যু’র মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই একটি ভোটবিহীন সরকার দেশ পরিচালনা করতে শুরু করেছে। সেজন্য ব্যাড লাক তো আসতে বাধ্য।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে যে নির্যাতন, নিপীড়ন, অত্যাচার, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও কুশাসন চলেছে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ২০১৯ সালে। প্রথমে তারা (সরকার) মাদক ও ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করতে অভিযান শুরু করলেন, অনেক অভিযান করেছেন। অনেক মানুষকে ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন। কিন্তু একজন গডফাদারকেও তারা ধরতে পারে নাই! কারণ এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। আর এটা এখনো চলছে। তারা কিছুই করতে পারে নাই। সুতরাং এগুলো হচ্ছে আইওয়াশ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু মোজাফফর মো: আনাছের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় মওদুদ বলেন, মাদক ও ইয়াবার পর ছাত্রলীগের শোভন ও রাব্বানীর কাণ্ড কাহিনী শুরু হলো। গত ১০ বছর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজী করেছে। কিন্তু সেই সময় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারপরে আসলো যুবলীগের খালেদ, শামীম ও সম্রাটের কাহিনী। এটা তো কিছুই না। ধরা পড়েছে বলে আজকে তাদেরকে নিয়ে আলোচনা। কিন্তু ক্যাসিনো থেকে সরকারের মন্ত্রীরা এবং প্রশাসনের যারা শেয়ার পেতেন, তাদের এমন একটা ভাব যে, তারা কিছুই জানেন না।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সরকার তো করবে না, আপনাদের একটু যদি সাহস থাকে তাহলে আপনারা সকল এমপি ও মন্ত্রীর সম্পদের হিসাব চান। আসল জিনিস তখন বের হয়ে আসবে যে, তারা এই শাসন আমলে কত অর্থ সঞ্চয় করেছেন।