ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারছেন না চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তিনি বলেছেন, একটা পদ্মা সেতু তৈরি করতে যতটা সহজ বা সম্ভব, একজন সাকিব আল হাসানকে তৈরি করা সম্ভব না। হাজার হাজার বছর অপেক্ষা করলেও একজন সাকিব আল হাসান তৈরি করা সম্ভব না।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় মৌসুমী এসব কথা বলেন। ভিডিওতে সাকিবকে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মৌসুমী। কথা বলতে গিয়ে তাঁর গলা জড়িয়ে যায়। আবেগে আপ্লুত মৌসুমীর চোখের কোণায় দেখা যায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকনা।
ভিডিওটি তাঁর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে।
ভিডিওবার্তায় মৌসুমী বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি মৌসুমী। একটা পদ্মা সেতু তৈরি করতে যতটা সহজ বা সম্ভব, একজন সাকিব আল হাসানকে তৈরি করা সম্ভব না। হাজার হাজার বছর অপেক্ষা করলেও একজন সাকিব আল হাসান তৈরি করা সম্ভব না। আমাদের মাঝে আমরা সেই সাকিব আল হাসানকে পেয়েছি।‘
তিনি আরও বলেন, সাকিব আল হাসান আমাদের অহংকার, আমাদের দেশরত্ন, আমাদের দেশের অহংকার, আমাদের দেশের সম্পদ। সেই সাকিব আল হাসান আমাদের ভালোবাসা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমি একজন ভক্ত হিসেবে সাকিব আল হাসানের এই কষ্টটা মেনে নিতে পারছি না বলেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাকিব আল হাসান, ফিরে আস আমাদের মাঝে। সাকিব, কেউ না থাকুক আমি তোমার সাথে আছি। আমি চাই তোমাকে নিয়ে আমাদের দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
মৌসুমী আরও বলেন, ‘তুমি (সাকিব) আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অহংকার। প্রধানমন্ত্রী তোমার সঙ্গে রয়েছেন। পুরো দেশবাসী তোমার সঙ্গে রয়েছে’।
জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী বলেন, ‘তার সবকিছুকে বিবেচনা করা হোক এবং আমাদের মাঝে আমাদের সাকিবকে ফেরত দেওয়া হোক। আমাদের ক্রিকেটকে যারা সমৃদ্ধশালী দেখতে চান, তারা সবাই সাকিব আল হাসানের পাশে থাকুন। এই ষড়যন্ত্রকে অবশ্যই মেনে নিবেন না। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করার অপরাধে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি ২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে মঙ্গলবার দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
তবে সাকিব দোষ স্বীকার করে নেয়ায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ, সাকিবের মূল নিষেধাজ্ঞা এক বছর। নিষেধাজ্ঞার সময় শাস্তির সব বিধিবিধান মেনে চললে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন এই দেশসেরা ক্রিকেটার।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা তিনবার লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে এই শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
আইসিসির দুর্নীতি ইউনিটের কাছে জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য না জানানোর অপরাধ ও শাস্তি মেনে নেয়ায় আপিল করার সুযোগ থাকছে না সাকিবের।
ফলে আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি ২০ বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না তার। প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময় নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে তিনি রেহাই পাবেন।