ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা: আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন বিশ্বের সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২০১৬ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি এলাকায় ৩৫ বিঘা জমির গড়ে তোল সাকিব আল হাসানের কাঁকড়ার খামার কেমন চলছে।
সাকিব আল হাসানের বন্ধু আরেক ক্রিকেটার সগীর হােসেন পাভেল জানান,, সুন্দরবন উপর নির্ভরশীল জেলেদের কাছ থেকে কাকড়া সংগ্রহ করা হয়ে সেটা নরম হলে প্রোসিসং করে বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়ে থাকে।এই ফার্মের কাঁকড়া প্যাকেটজাত করে বিদেশে রফতানি করা হয়। সাকিবের কাঁকড়া খামার ও প্রোসিসং প্লান মোটামুটি ভালো চলছে।
তিনি আরো বলেন, এই এলাকাটি আইলা আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ। কাজের সুযোগ অনেক কম। কিন্তু এই খামারটি গড়ে উঠার পর অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সাকিবের কাঁকড়া খামার বলে দেখতে আসে। কিন্তু কাঁকড়া খামারে সবাই প্রবেশের অনুমতি দিলে অনেক ক্ষেতে সমস্যা হয়। সে কারণে এর মধ্যে প্রবেশ নিষেধ। অনেকে বাইর থেকে দেখে চলে যায়।
বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার কে? এই প্রশ্নটি করলে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই একবাক্যে উত্তর দেবে সাকিব আল হাসান। অল রাউন্ডার সাকিব ব্যাটে, বলে এবং ফিল্ডিংয়ে পারদর্শীর পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যে বেশ পারদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে। খেলাধুলার পাশাপাশি সাকিবের ব্যবসা রয়েছে এটি কারো অজানা নেই। ঢাকা বা নিজ এলাকা মাগুরা ছেড়ে এবার সৌম্য-মুস্তাফিজের সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালী এলাকায় সাকিব এগ্রো ফার্ম লি. নামে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ প্রজেক্ট গড়ে তুলছেন। সেটির ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাড়ে তিন লক্ষ বক্সের মধ্যে ইতোমধ্যে পরিক্ষামুলকভাবে ৩২ হাজার বাক্সে কাঁকড়া চাষ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ সেটির উদ্বোধন করা হবে জানা গেছে। সাকিবের ফার্মের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন আরেক ক্রিকেটর সগীর হোসেন পাভেল। সরোজমিনের গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীর পোড়াকটলা দাতিনাখালী এলাকায় ৫০ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে সাকিবের কাকড়া মোটাতাজাকরণ ফার্মটি। শ্রমিকেদের থাকার জন্য ও কাকড়া প্রসেসিং করার ফ্রিজিং রুমও প্রস্তুত করতে বেশ কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছেন। ঘেরে ভাসমান প্লস্টিকের খাঁচা পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করা হবে। এজন্য ঘেরের ভিতরে সাড়ে ৩ লক্ষ প্লাস্টিকের খাচা বসানোর মধ্যে সিংহ ভাগ বসানো হয়েছে।
সাকিব এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থপনা পরিচালক গাজী ইমদাদুল হক জানান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও আরেক ক্রিকেটর সগীর হোসেন পাভেল সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় এই প্রজেক্টটি গড়ে তুলছেন। এর মাধ্যমে প্রায় ১৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই প্রজেক্টের শুরু থেকে সব বিষয়ে দেখাশুনা করছেন ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল।
চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে কাজ শুরু হলেও লোনা পানি নিয়ে জটিলতা ছিল বিধায় কাজ শেষ হতে একটু দেরী হয়ে গেছে।