তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, শ্যামনগরের ভেটখালী গ্রামের আল মামুনসহ তার দুই পুত্র আব্রাহাম লিংকন ও লিমন সর্বোচ্চ ৫ম শ্রেণি থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পাশ করে তারা তাদের পরিবারের তিন জনই সাতক্ষীরার তিনটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকায় চাঁদাবাজী করে সংসার চালাচ্ছেন। তাদের এই চাঁদাবাজী হাত থেকে মানিকখালীর সার্বজনিন পূজা মন্দিরও রেহাই পাচ্ছে না। সম্প্রতি সাংবাদিক পরিচয়ধারী চাঁদাবাজ আব্রাহাম লিংকন মন্দিরের গাছকাটা নিয়ে কমিটির সভাপতি সুভাষ মন্ডলের কাছে কৈফিয়াত তলব করে তার কাছে চাঁদা দাবী করেন। সভাপতি তাকে বলেন, মন্দির কমিটি রেজুলেশন করে গাছ কেটেছে। এছাড়া হাইকেটের ২২৭১/১৬ নং রিট মামলার আদেশে এই মন্দিরটি সার্বজনিন মন্দির হিসেবে উল্লেখ করে আদেশ দিয়েছেন। একপর্যায়ে আব্রাহাম বলেন, তাকে টাকা না দিলে পত্রিকায় নিউজ করবেন এবং অনুমেদিত কমিটিকে অবৈধ কমিটি উল্লেখ করে নিউজ করবেন বলেও হুমকি প্রদান করেন। শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান তাদের এহেন অপকর্মের বিরোধীতাও করেন। তারা ভেটখালী এলাকার নৌ পুলিশ, ফরেস্ট ও কোস্ট গার্ডে খবরদারী করে সুন্দরবনের বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়মিত চাঁদাও আদায় করে থাকেন। তিনি বলেন, সুন্দরবনের জেলে বাউয়ালীদের সুন্দরবনের ভিতরে যেতে হলে এই গ্রুপকে চাঁদা দিতে হয়। টাকা না দিলে নিউজ হয় আর টাকা দিলে নিউজ হয়না। জেলে বাউয়ালীরা এসব সাংবাদিকদের মাসোহারা দিয়ে সুন্দরবনে যান। ভেটখালী বাজারে দোকান ঘর মেরামত করতে হলেও তাদের টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে উপজেলা প্রশাসনকে দিয়ে হয়রানী করা হয়। তিনি আরো বলেন, এমন কোন খাত নেই যেখান থেকে এই সাংবাদিকরা চাঁদা নেননা। এমতাবস্থায় তিনি উক্ত চাঁদাবাজী পরিবারের দৌরত্ব কমিয়ে সংখ্যালঘু পরিবার ও অসহয় জেলে বাউলীসহ সাধারন মানুষকে রক্ষা করতে পত্রিকাগুলোর সম্পাদকসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।