ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: : উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীরা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। তারা চাইলেও তাদের প্রার্থী করা হবে না। আগামী ১২ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রার্থীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। দলের জন্য নিবেদিত, যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই প্রার্থী করতে হবে। বুধবার সকাল ১০টায় শহরের একটি কনভেনশন সেন্টারে বর্ধিত সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একে ফজলুল হক, সদর আসনের সাংসদ, এড. এসএম হায়দার, ডা. মোখলেসুর রহমান, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জগলুল হায়দার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, আসাদুজ্জামান বাবু, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, এড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, এসএম শওকত হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদ মেহেদী, এড. মোজাহার হোসেন কান্টু, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউল হক দোলন, উপজেলা দেবহাটা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান প্রমূখ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা দেশে ও বিদেশে বেড়েই চলেছে। তার নেতৃত্বে উন্নত দেশের দিকে বাংলাদেশ ধাবিত হচ্ছে। নেত্রীর জন্য আওয়ামী লীগের ভোট বেড়েছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে কতিপয় ব্যক্তিদের কারণে সমর্থন কমছে। কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীর দায় দল নেবে না।
বক্তারা পোস্টার সর্বস্ব নেতা না হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, বিভিন্ন দিবসের পোস্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি থাকবে। অন্য কোন নেতার ছবি থাকবে না। ছবি বা পোস্টার সর্বস্ব নেতা না হয়ে, পরমতসহিষ্ণু নেতা হওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, অনেক নেতা আছে যারা শুধু পোস্টার নিয়ে রাজনীতি করেন। পোস্টার ছাপিয়ে অনেকে মামলা বাণিজ্য, চাঁদাবাজী, বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা করছেন। অনেক জুয়াকারবারী, মাদক ব্যবসায়ী, জমিদখলকারী দলের নামে ব্যানার টাঙিয়ে দিচ্ছে। বক্তারা ব্যানার না টাঙিয়ে মানুষের মনের মধ্যে ব্যানার টাঙানোর ব্যবস্থা করার আহবান জানিয়ে তাদের থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা ও জেলার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। একই সাথে কালিগঞ্জ উপজেলা আজ ৭ নভেম্বর, আশাশুনি উপজেলা ১৯ নভেম্বর, দেবহাটা উপজেলা ২৬ নভেম্বর, তালা উপজেলা ২৭ নভেম্বর, কলারোয়া উপজেলা ২৯ নভেম্বর, শ্যামনগর উপজেলা ১ ডিসেম্বর, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ২ ডিসেম্বর, সাতক্ষীরা পৌরসভা ৮ ডিসেম্বর এবং সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।