শ্যামনগরে রাস্তার কাজ না করে ঠিকাদারের ৫৬ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার গাইন বাড়ীর ইউনুস আলীর বাড়ী হতে করিমের বাড়ী পর্যন্ত ৫৬ লাখ টাকার বরাদ্ধকৃত ডবল ইটের ( হ্যারিং বোন) রাস্তাটির কাজ ২০১৭-১৮ অর্থ সালে মোল্যা এন্টার প্রাইজের মালিক ঠিকাদার নুরুল হক মোল্যা কাজটি প্রাপ্ত হন।

উক্ত অর্থ বছরে কাজটি শেষ করে বিল উত্তোলনের কথা ছিল কিন্ত ঠিকাদার কাজ না করে সম্মুদয় বরাদ্ধের অর্থ উত্তোলন করে নিজের পকেট বা ব্যাংক ভরেছেন। অর্ধ কোটি টাকার বেশী সরকারী টাকা উত্তোলন করে শ্যামনগরের ঠিকাদার নুরুল মোল্যা বহাল তবিয়্যাতে কি ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এটাই এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন ?

এ বিষয়ে ওই এলাকার স্থানীয় মেম্বর মোস্তফা রহমান জানান,সামান্য কাজ করার পর ঠিকাদার সম্পুর্ন রাস্তাটির কাজ না করে ফেলে রেখেছেন।সাধারন মানুষের চলাচলে নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে, আমরা স্থানীয় ভাবে ঠিকাদারকে দুই বছর ধরে রাস্তাটি নির্মান করার জন্য বার বার অনুরোধ করছি কিন্ত আমাদের কথা তিনি কর্নপাত না করে, যখন ইচ্ছা, তখন করবো, এমন কথা বলে যাচ্ছেন।

ওই এলাকার সাবেক মেম্বর সমাজ সেবক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার নুরুল হক মোল্যা ৫৬ লাখ টাকার কাজ না করে বহাল তবিয়্যাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।আমরা বার বার তাকে কাজটি করার অনুরোধ করলেও তিনি এপর্যন্ত কাজটি করেন নি।আমরা গাবুরাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বলেন, এধরনের প্রকল্পের কাজ হচ্ছে কিনা তাহা আমার জানা নেই,তবে এধরনের একটি প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা ছিল,কাজ হওয়াতো দুরের কথা, এখন শুনছি ঠিকাদার আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান প্রকল্পের অনুকুলে বরাদ্ধের সম্মুদ্বয় টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে খাওয়া দাওয়া শেষ করেছেন।

শ্যামনগর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান বলেন, ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে,তিনি দ্রুত কাজ করবেন।

এতো দিনে কাজ করা হয় নি কেন? এমন প্রশ্ন করলে সেলিম খান বলেন,আমি ঠিকাদারকে বিশ্বাস করেছিলাম কিন্ত ওনি যে এধরনের লোক তাহা আমি বুঝে উঠতে পারিনি,তবে আমি নিয়মিত চাপের মধ্যে রেখেছি, যাতে ঠিকাদার দ্রুত কাজ করেন।এছাড়া বর্তমান পি আই ও কে বলে দিয়েছি,ওনি বিষয়টি দেখবেন।

এ দিকে বর্তমান শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, এ কাজটি আমার আমলের নয়,আমার আগের অফিসারের আমলে,আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।

দ্বারিত্বরত ঠিকাদার নুরুল হক মোল্যা বলেন, এ বছর ইট বের হলে রাস্তার কাজ করা হবে,আমার সুবিধা মত আমি কাজটি করবো,আপনাদের কাজ থাকলে সেই কাজ আপনারা করেন।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।