ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা:
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে তছনছ হয়েছে সাতক্ষীরার উপকূল। গাছ উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে কাজ করছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও নৌবাহিনী।
রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, ক্ষতিগ্রস্ত উপকুলীয় এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে মানুষের বাড়িঘর। এসব মানুষকে সহায়তার জন্য নগদ ১৭ লাখ টাকা ও ৫শ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এসব মানুষদের পূনবাসনসহ জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে প্রশাসন কাজ করছে।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের জন্য জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আর যেন উপকূলীয় মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে না হয় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামতের কাজ করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দূর্গত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা কন্ট্রোল রুমের তত্ত্বাবধায়ক জেলা ডিআরআরও প্রশান্ত কুমার রায় জানান, জেলাব্যাপী ৫০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৬০টি ঘর। সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৫৮০টি ঘরবাড়ি। এছাড়া উপকুলীয় এলাকার ৫ হাজার ৭১৯ হেক্টর চিংড়ি ঘের ও ২৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল ইতিমধ্যে নষ্ট হয়েছে।