ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা: জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, ত্রাণের সুষ্ঠু বণ্টন হবে। ত্রাণ নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে তাকে গ্রেপ্তার করে আওতায় নেওয়া হবে। একই সাথে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই যাতে ত্রাণ পায় সেটাও নিশ্চিত করা হবে। ট্যাগ অফিসাররা ডোর টু ডোর ভিজিট করে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তালিকা তৈরি করবে। এজন্য তারা ক্ষয়ক্ষতির ছবিও তুলবে।
সোমবার রাতে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহায়তা পায়, সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
তিনি দুর্যোগ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য উপাত্ত পরিবেশনের আহবান জানিয়ে বলেন, ভুল তথ্য দিলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এজন্য সঠিত তথ্য উপাত্ত সরবরাহে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আরও বলেন, দুর্যোগের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে প্রস্তুতির গ্যাপগুলো পূরণ করা যায়। কিন্তু প্রতিবারই দুর্যোগ আসে নতুন করে। যা নতুন অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, সাতক্ষীরা জেলা উপকূলীয় এবং দুর্যোগপ্রবণ। এজন্য সাতক্ষীরার মানুষের নিরাপত্তা ও দুর্যোগকালীন আশ্রয়ের জন্য ২০০ সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের লিখিত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে জেলায় একাধিক মুজিব কিল্লা গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন আমাদের রক্ষায় মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ঠিক যেমনটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন দুর্যোগকালীন একটি মানুষও যাতে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে না থাকে।
প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক জানান, ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৩০ লাখ টাকা ও ১ হাজার বান্ডিল টিম বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আমাদের নতুন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করবেন।
এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ত্রাণ আনা ও সুষ্ঠু বণ্টনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকা থেকে সাতক্ষীরায় একটি ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
প্রেস কনফারেন্সে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেকুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সোমবার বিকালে তার সম্মেলনকক্ষে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পর্যালোচনা সভার আয়োজন করেন। সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়সহ জেলার সব সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে স্ব স্ব দপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তুলে ধরেন।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …