চট্টগ্রামে গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত ॥ আহত ২০

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ   চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে বড়ুয়া ভবনের দেয়াল উড়ে গিয়ে মা-ছেলেসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। এক স্কুল শিক্ষিকাসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানার ব্রিকফিল্ড রোডে ‘বড়ুয়া’ ভবনের নিচতলায় এ বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে বাড়ির দেয়াল ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে পাশের বাড়িতে আঘাত করে। দেয়ালের ইট ছুটে গিয়ে উল্টোদিকের এক দোকানে পড়ে। এতে তাদের শোকেসের কাচ ভেঙে যায়। বিস্ফোরণের ধাক্কায় অপর একটি বাড়ির সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। ভবনের গেটটি পাশের ওষুধের দোকানে ঢুকে পড়ে।

পথচারীদের অনেকেই দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন। এ সময় আশপাশের সব ভবন ও বাসাবাড়ি কেঁপে ওঠে। তৈরি হয় আতঙ্ক। হতাহত স্বজনদের আহাজারিতে ঘটনাস্থল ও মেডিকেল কলেজ মর্গ এলাকায় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত ‘বড়ুয়া ভবন’ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। এখানে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভূগর্ভস্থ গ্যাসলাইন থেকেই এ বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বলছে, তাদের লাইন ও রাইজার অক্ষত। গ্যাসলাইন বিস্ফোরণ হলে আগুন লাগত। এখানে আগুন লাগেনি। তাই বিস্ফোরণ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সেপটিক ট্যাংক, বাসার গ্যাস সিলিন্ডার কিংবা অন্য কোনো ধরনের বিস্ফোরক থেকে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে। রিপোর্ট পাওয়া গেলেই সব স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় নিহত জুলেখা ফারজানা বেগম (৩২) ও তার ছেলে আতিকুর রহমান শুভ (১০), রংমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম (৩৫), স্কুলশিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া এবং অর্ণব নাথ (১২)।

রাতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত অপর দু’জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আহত ২৫ জনের মধ্যে অর্পিতা নাথের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেন্টজনস স্কুলের শিক্ষিকা তিশা গোমেজ ও রিকশাচালক মোহাম্মদ নজির চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। অন্যদের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেয়াল ও পাথরের নিচে চাপা পাড়া লোকজনের আর্তনাদ-আহাজারিতে ব্রিকফিল্ড রোডের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। সবার মধ্যেই ছিল বাঁচার আকুতি। ইটের ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে বাঁচার জন্য সাহায্য চান। দেয়ালের নিচ থেকে বের করার আকুতি জানান। ইট-পাথরের নিচে চাপা পড়া রক্তাক্ত নারী-শিশুদের বাঁচার আকুতিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের ও পুলিশ প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনেরও আশ্বাস দেন।

কোতোয়ালি থানার ব্রিকফিল্ড রোডের ৪ নম্বর গলিতে পাঁচতলাবিশিষ্ট ‘বড়ুয়া’ ভবন। ভবনটির মালিক ছিলেন ধর্মপাল বড়ুয়া। তিনি মারা যাওয়ায় তার দুই ছেলে এর বর্তমান মালিক। সকাল পৌনে নয়টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে এই ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন দেখা যায়, বিস্ফোরণে বড়ুয়া ভবনটির নিচতলার দুটি কক্ষের সামনের অংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ২০ গজের মতো দূরে ছিটকে পড়েছে। ভবনটির দেয়াল আঘাত করে সীমানা দেয়ালকে। সীমানা দেয়ালসহ ছিটকে পাশের ভবনে আঘাত করে। একইভাবে পশ্চিম পাশের ভবনটিতেও আঘাত করে।

বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই ক্ষিপ্র ছিল যে, এর ধাক্কায় পাশের ভবনের ওয়াল পর্যন্ত ধসে পড়েছে। ভবনটির প্রধান গেটটি ঢুকে পড়ে পাশের মেসার্স জনতা ফার্মেসি নামে ওষুধের দোকানে। চূর্ণ-বিচূর্ণ ইটের আঘাতে পাশের কয়েকটি ভবনের জানালার কাচ ভেঙে গেছে।

ঘটনার পরপরই ব্রিকফিল্ড রোডটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। উৎসুক জনতাকে সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

এ ভবনের উল্টোপাশে পান দোকান চালান স্থানীয় বাসিন্দা মনজুর আলম।

তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি ৭টায় দোকান খুলি। পৌনে আটটার দিকে হঠাৎ বিকট আওয়াজ। আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে ভবনটির দেয়াল ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে মাঝখানের রাস্তা পেরিয়ে আমার দোকানে আঘাত করে। আমার দোকানের শোকেস ভেঙে গেছে। ইটের আঘাতে আমার হাতের দুটি আঙুল ভেঙে গেছে। রাস্তায় বের হয়ে শুনি নারী-শিশুসহ আহতদের আর্তনাদ। এর মধ্যে ৬-৭ জনের লাশ পড়ে থাকতে দেখি।’

স্থানীয় অপর ব্যক্তি বলেন, বিস্ফোরণ ছিল তীব্র। এর ঝাঁকুনিতে আশপাশের সব ভবন ও বাসাবাড়ি কেঁপে ওঠে। সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এ সময় হতভম্ব লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। কোতোয়ালি থানা কাছে হওয়ায় ঘটনাস্থলে সবার আগে ওই থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।

এর পরপরই আসে ফায়ার সার্ভিস। নন্দনকানন, চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ স্টেশনের ১০টি গাড়ি উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। তারা ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে চমেক (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালে পাঠান। এর মধ্যে ৭ জনকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহত জুলেখা ফারজানা বেগম (৩২) ও তার ছেলে আতিকুর রহমান শুভ (১০)। জুলেখা সকালে ছেলেকে নিয়ে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে যাচ্ছিলেন। পথ থেকে মা ও ছেলে একসঙ্গে হারিয়ে যান। পথচারী নুরুল ইসলাম (৩৫), পেশায় রংমিস্ত্রি। বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়ায়। সকালে এ পথ দিয়েই কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার কর্মস্থলে পৌঁছা হয়নি। অ্যানি বড়ুয়া পেশায় স্কুলশিক্ষিকা।

তিনি পিইসি পরীক্ষার ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। তার পরীক্ষার হলে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। তার বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। অর্ণব নাথ (১২) এ ঘটনায় নিহত হন। আর দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি।

আহত ২৫ জনের মধ্যে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অপর ১০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন মো. ইউসুফ (৪০), আবদুল হামিদ (৪০), সন্ধ্যা রানী দেবী (৫০), মো. আরিফ (১৫), মো. নজির (৬৫), তিশা গোমেজ (২২), অর্পিতা নাথ (১৬), মো. ইসমাইল (৩০) ও আবু তালেব (৪৫)। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের নিচতলার বাসিন্দা অর্পিতা নাথের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা : ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচতলা ‘বড়ুয়া ভবন’ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। রোববার বিকালে সংস্থাটি ভবনটির সামনে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। একই সঙ্গে ‘বড়ুয়া ভবন’-এ বসবাসকারী লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়।

বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণে ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের তাৎক্ষণিক ঘোষণায় বিপাকে পড়েছিল ভবনে বসবাসকারী ভাড়াটিয়ারা।

কেন এ বিস্ফোরণ : সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, ওই ভবনর নিচতলার বাসায় রান্নার জন্য চুলায় আগুন দিতে দেয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ কারণে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণেই এ ঘটনা ঘটছে বলে মনে হচ্ছে।

কিন্তু কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কেউই দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারছেন না।

চউকের ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম খান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যা দেখেছি তাতে বোঝা যাচ্ছে চউকের নকশা অনুযায়ী ভবনটি নির্মাণ করা হয়নি। এর কারণ হচ্ছে গ্যাসলাইনের রাইজার, সেপটিক ট্যাংক মানুষ চলাচলের স্থান বা রাস্তার পাশে স্থাপনের সুযোগ নেই। কিন্তু এ ভবনে দেখা যাচ্ছে গ্যাসের রাইজার ও সেপটিক ট্যাংক রাস্তার সঙ্গেই লাগোয়া।

দুটিই বিস্ফোরণের আশঙ্কা থাকে। এ কারণে রাস্তার পাশে এ ধরনের কিছু স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয় না। নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ না করা বা রাস্তার পাশে রাইজার ও সেপটিক ট্যাংক থাকার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ডিজিএম (বিতরণ) অনুপম দত্ত যুগান্তরকে বলেন, ‘ভবনটিতে গ্যাসলাইনে কোনো ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। ভবনের সামনে স্থাপিত গ্যাসের রাইজার অক্ষত রয়েছে। গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ হলে আগুনের সূত্রপাত হতো। এখানে আগুনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এছাড়া পাথরঘাটা এলাকায় গ্যাস সরবরাহে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ ঘটেছে এই অভিযোগ মানতে নারাজ তারা।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনা অপূরণীয় ক্ষতি। সব কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ভবন মালিক ও ভাড়াটিয়াদের গ্যাস, বিদ্যুতের লাইনে লিকেজ আছে কিনা নিয়মিত তদারকি করতে হবে। ব্যবহারকারীরা সচেতন হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘সিডিএ নকশা অনুমোদন করে।

নকশা অনুযায়ী ভবন হচ্ছে না। নজরদারির জন্য প্রয়োজনীয় জনবল সেবা সংস্থাগুলোর নেই।’ মেয়র বলেন, নিহতদের দাফনের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এর বাইরে নিহত সাতজনের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সিটি কর্পোরেশন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এজেএম শরিফুল হাসানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত রোগীদের দেখতে এসে সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।