ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সম্প্রতি নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি স্থিরচিত্র আলোচিত হয়। সেখানে দেখা যায়, ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবি সংবলিত ব্যানার টাঙিয়ে ও কুশপুত্তলিকা তৈরি করে তাতে জুতার মালা পরানো হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন- ২০১৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়নে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করলেন চলচ্চিত্রকর্মীরা।
সোমবার দুপুরে বিএফডিসি গেটের সামনে এ মানববন্ধন করেন চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন। এ মানববন্ধনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, শিল্পী সমিতি, নৃত্যশিল্পী, চিত্রগ্রাহক, ফাইট ডিরেক্টর, সহকারী পরিচালক সমিতি ছাড়াও চলচ্চিত্রের অন্যান্য সংগঠনগুলো অংশ নেন। এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, পরিচালক নেতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, অভিনেত্রী অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, ইমনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পের সব সংগঠনের পক্ষ থেকে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। এখানে ইলিয়াস কাঞ্চনকে কেন অশালীন ভাষায় গালি দেয়া হচ্ছে। তার ছবিতে কুরুচিপূর্ণ কথা লেখা হচ্ছে। এটা অন্যায়। যারা করছেন তাদের প্রতি আবারো আমাদের ঘৃণা ও প্রতিবাদ। সেই সঙ্গে জনস্বার্থে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তিনি ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা শিল্পী সমাজ তার পাশে আছি। প্রয়োজন হলে আমরা রাস্তায় নামবো। দয়া করে বাংলার শিল্পী সমাজকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে যে অসম্মানজনক আচরণ করা হয়েছে তার জন্য আমাদের এই প্রতিবাদী কর্মসূচি। পাশাপাশি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন- ২০১৮-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করছি। প্রয়োজনে আরো কর্মসূচি হাতে নেব।
১৯৯৩ সালের এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর থেকে ইলিয়াস কাঞ্চন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন শুরু করেন। গত ২৬ বছর ধরে সেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এ কারণে বেশ কয়েকবার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের রোষানলে পড়েছেন তিনি।