ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা : সদর উপজেলার আগরদাড়ী কামিল মাদ্রাসার অর্থ আতœসাতের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম কাশেমীসহ ৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ১৭ নভেম্বর মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও আগরদাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) তৎসহ দন্ড বিধির ৪৪৭ (এ) ৪০৯/১০৯ এর ধারায় এ মামলা করেন।
আসামীরা হলেন আগরদাড়ী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, সহকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ও কারী মিজানুর রহমান। মামলার সূত্রে জানা গেছে, আগরদাড়ী আমিনিয়িা কামিল মাদ্রাসার ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসার হিসাব নিরীক্ষণ ও অডিটের জন্য কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং অধ্যক্ষ মাদ্রাসার আর্থিক হিসাবসহ যাবতীয় কাগজপত্র ও মাদ্রাসার স্থাবর অস্থাবর অডিট কমিটি বুঝ করে মাদ্রসার সভাপতির নিকট জমা প্রদান করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। ২ নভেম্বর মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি জরুরী সভা ডাকে। জরুরী সভায় মাদ্রাসার ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসার দান, জমি লীজ, গাছের ফল, মাহফিলের আয় ও রুপালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ১ কোটি ২৭ লাখ ২ হাজার টাকা আয় এসেছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেন হিসাব নিরক্ষণ ও অডিট কমিটি। মামলার আসামীরা অধিকাংশ এসব আয়ের অর্থ অবৈধ ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন। তবে ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত আয় ব্যয়ের কোনো হিসাব অডিট কমিটি পায়নি। এছাড়া মাদ্রসার হিসাবপত্রে দাখিলী অধিকাংশ ভাউচার করে মিথ্যা লিপিবদ্ধ করেছেন। এতে ২, ৩ নং আসামীর সহায়তা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন। আসামীরা মিথ্যা হিসাপত্রের মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ জানুয়ারী পর্যন্ত ৯০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। সরকারি অনুদান হিসেবে ৮ লাখ ১ হাজার টাকা মাদ্রাসার নামীয় রুপালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা ১৫৬৪৩ নং হিসাব রক্ষিত হতে উত্তোলন করে অধ্যক্ষসহ আসামীরা। এছাড়া ২০১৯ সালের মাদ্রাসার আয়ের ২০ লাখ টাকা কোনো হিসাব না দিয়ে আসামীরা আত্মসাত করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন। মাদ্রাসার আয়ের টাকা আত্মসাত করায় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি এক জরুরী সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে টাকা আত্মসাতকারী আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।