ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা: ওয়াটারএইড ও সেভার্ন ট্রেন্ট (যুক্তরাষ্ট্রের পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সংস্থা) একসঙ্গে যুক্ত হয়ে ‘প্রোমোটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন ইন সাউথওয়েস্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প চালু করেছে।
বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পটি চালু করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্কুলগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করবে প্রকল্পটি। ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট পানি সরবরাহ সুবিধা, স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, কমিউনিটির বাসিন্দাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায়, ওয়াশ (নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি) ইন স্কুল প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অগ্রগতি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি এমএইচএম (মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট) প্ল্যাটফর্ম ও মডেল ওয়াশ কমপ্লেক্স স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যবিধির উন্নয়নে কাজ করবে; যা পরবর্তীতে উন্নয়নকর্মী এবং সরকারকে এই খাতে সহায়তা প্রদানে সাহায্য করবে।
এছাড়া, প্রকল্পটি স্থানীয় কমিউনিটি ও স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যে কাজ করবে, যাতে করে ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষজনের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ফলপ্রসূ এবং টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত হয়।
অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এর পরিচালক (ফান্ডরেইজিং অ্যান্ড লার্নিং) ইমরুল কায়েস মুনিরুজ্জামান বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলীয় এলাকা। এসব এলাকায় বসবাস করা বেশ বিপজ্জনক। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই ও জলবায়ু সহনীয় বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় সহয়তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছি। যাতে করে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা তাদের মৌলিক চাহিদা (নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্থাস্থ্যবিধি) নিশ্চিত করতে পারে।