ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ: সাতক্ষীরা: পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সন্ত্রাসী দীপ ও সাইফুলের সকল অপকর্মের হোতা সাদিক। দীপকে সবাই চেনে সাদিকের বড়িগার্ড হিসেবে এবং তাদের মদতদাতা একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। ওই জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত ফাইফরমায়েশ খাটার কাজে নিয়োজিত সোহাগকে কুপিয়ে হত্যা করে সাইফুল। এনিয়ে শহরে বিভিন্ন কথা চাউর থাকলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিশেষ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় এসে বিভিন্ন সময়ে উক্ত সন্ত্রাসীদের আটারিং করতে দেখা যায়। এ ধরনের পুরাতন একটি ভিডিও স্থানীয় দৈনিক কাছে পাঠানো হয়েছে। তকে ভিডিওটি কবে কখন ধারণ করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে সাদিকের নেতৃত্বাধীন এই গ্রুপটি বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্য জমি দখল চাঁদাবাজী ছিনতাই করে আসলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেউ অভিযোগই করতে সাহস পায়নি। দুই একটি ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলেও সাদিক এবং ওই জনপ্রতিনিধির প্রভাবের কারণে তা অল্প সময়েই ধামা চাপা পড়ে যায়।
গত ১৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সুলতানপুর বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. আমিনুর রহমান সাতক্ষীরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাদিকসহ দুই জনের বিরুদ্ধে। তিনি ওই অভিযোগে বলেন, ওই দিন মঙ্গলবার দুপুরে শহরের যমুনা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বড় বাজার যাওয়ার সময় জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী সাদিক তার মোবাইল থেকে জরুরী কথা বলার নাম করে তাকে পশু হাসপাতালে ডেকে নিয়ে আসে। এসময় সাদিক তাকে বলে আপনি বড়বাজারে ভালো ব্যবসা করেন। অথচ আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন না। কোন টাকা পয়সা দেন না। তাই সবাই মিলে আপনার কাছে ৫লাখ টাকা ধার্য্য করেছি। আজকে যা পারেন দেন। বাকিটা কাল সাইফুলের (২নং আসামীর) কাছে দেবেন। এসময় আমিনুর রহমান বলেন, আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি এবং নিজেও আওয়ামী লীগের একজন পদধারী ব্যক্তি। সুতরাং কোন চাঁদা দিতে পারবো না। আর এভাবে চাঁদাবাজি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতি করবেন না। একথা বলার সাথে সাথে সাদিক ও সাইফুল বাদি আমিনুলের সাথে তুই-তামারি করা শুরু করে এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারপিট করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। সাদিক ও সাইফুল ঐদিন আমিনুর রহমানের ব্যাংক থেকে উঠানো দুই লক্ষ টাকা কেড়ে নেয় এবং আরও তিন লাখ টাকা একদিনের মধ্যে দিতে বলে। আমিনুর রহমান থানায় দাখিল করা অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছিলেন, সাদিক ও সাইফুল তাকে বলে, ‘এ নিয়ে থানা কোর্ট কাছারি করলে তোর গুষ্ঠি শুদ্ধ শেষ করে দেব। তাছাড়া এসপি ওসির কাছে মামলা করে লাভ হবে না। কারণ আমার চাচা এমপি, আর আমিও বড় নেতা।’
উল্লেখ্য, এ ঘটনা দিয়ে ব্যবসায়ীরা আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুললেও তা বেশি দুর যায়নি। পরে প্রভাবশালী ওই জনপ্রতিনিধির চাপের মুখে আমিনুর রহমান তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …