ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ: সাতক্ষীরা: রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সব পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে তিন বিভাগেরই পাম্প থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, বিতরণ ও পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দ্বিতীয় দিনেও দুপুরের পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এমএ মোমিন দুলাল জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়ায় এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংক-লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, পৌরসভার চাঁদা আদায় বন্ধ, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিলসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে মন্ত্রণালয়কে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দেয়া হয়েছিলো।
এদিকে ১৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জেলায় সকল পেট্রোল পাম্প বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মোটর সাইকেল, বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালক মালিক শ্রমিকরা। জ্বালানি তেল না পেয়ে অনেকে পাম্প থেকে ফিরে যেতে দেখা গেছে। তেলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু বাসসহ পণ্যবাহী ট্রাক।
মোটরসাইকেল চালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি সাতক্ষীরা থেকে কলারোয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বাহির হন। এমনত অবস্থায় তার মোটরসাইকেলটি ছয়ঘরিয়ায় আসা মাত্র তেল শেষ হয়ে যায়। তার গাড়ীতে তেলের মিটারও ছিল না। তেল নিতে লস্কর পেট্রোল পাম্পে গেলে সেখানে তেল দেয়নি। সেখান থেকে তার গাড়ী নিয়ে হেটে আসে ঝাউডাঙ্গা পেট্রোল পাম্পে কিন্তু এখানেও দেখতে পান তেল বিক্রি বন্ধ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজও তারা ধর্মঘট পালন করছেন। সকাল থেকেই ফিলিং স্টেশন আসা কাউকে জ্বালানি তেল দেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তী নির্দেশনা না আশা পর্যন্ত এমন অবস্থা চলতে থাকবে।