লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা একজন অসহায় দরিদ্র ইটভাটার শ্রমিক হওয়ায় কারণে কোন কিছু যাচাই-বাছাই না করে পাটকেলঘাটা ভারসা গ্রামের মাজেদ মোড়লের পুত্র নুর ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে আমাকে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্বামী নুর ইসলাম আমাকে মারপিটসহ নির্যাতন করতো। তারপরও পিতা দরিদ্র হওয়ার কারণে সব কিছু সহ্য করে যাচ্ছিলাম। ইতোমধ্যে আমাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তার বয়স ৫ বছর। দীর্ঘ ৬ বছরের সাংসারিক জীবনে আমার স্বামী আমাকে ৪ বার তালাক দিয়েছে আবার ৪ বিয়েও করেছে। সম্প্রতি আমার স্বামী তার ছোটভাই শরিফুল ইসলামকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দেয় তার সাথে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু আমি এতে রাজি না হওয়ায় স্বামী নুর ইসলাম আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে এবং নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমি কোন উপায় না পেয়ে আমার সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে আসি। এঘটনায় আমার স্বামী নুর ইসলাম আমি তার বাড়ি থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছি মর্মে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কাউন্সিলর শাহীন বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে সদর থানার কাছ থেকে তিনি দায়িত্ব নেন। কিন্তু শাহীন বিচারের নামে আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমার পিতা এবং ভাই গরিব মানুষ হওয়ায় তার দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় শাহীন লাঠি সোটা ও জুতা দিয়ে আমাকে মারপিট করে এবং আমাকে বলতে বাধ্য করায় যে আমি স্বামীর বাড়ি হতে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে এসেছি। যা কাউন্সিলর শাহীন মোবাইলে ভিডিও করে। অথচ আমার স্বামী তার ভাইকে (দেবর) দিয়ে আমার সাথে অসামাজিক কাজের লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করলো সে বিষয়ে কোন প্রতিবাদ না করে শাহীন অর্থের লোভে তাদের পক্ষ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন কৃষক। একটি জরাজীর্ণ মাটির ঘরে বসবাস করে। অথচ তার ওই ভাঙা ঘরে আড়াই লক্ষ টাকা রাখবেন সেটি কোন সুস্থ্য মানুষ বিশ্বাস করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, কাউন্সিলর শাহীন বিচারের নামে চান শুধু টাকা। কোন সমাধান না করে তিনি টাকা নিয়ে জোরপূর্বক ওই লম্পট স্বামীর বাড়িতে আমাকে পাঠাতে চান। সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সময় ভুক্তভোগী সাবিনা খাতুন একজন অসহায় নারী হিসেবে অর্থলোভী শাহীন কাউন্সিলর ও তার লম্পট স্বামী এবং দেবরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।