আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মায়ের বকুনি খেয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল এক কিশোরী। নিজের জীবন বাজি রেখে সেই মেয়েটির জীবন বাঁচিয়ে নজির গড়লেন ৫৮ বছরের এক এএসআই।
গুন্টুর জেলার পেনুমুদি গ্রামের একটি ব্রিজ থেকে রোববার সকালে কৃষ্ণা নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই মেয়েটি।
খবর পেয়ে অবণীগাড্ডা থানার এএসআই মাণিক্যালা রাও মেয়েটিকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এএসআই জানিয়েছেন, সময় নষ্ট না করেই নদীতে ঝাঁপ দেই। উর্দি খুলেই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলাম এমনটা না করলে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে হয়ত সম্ভব হতো না। ৬০ ফুটের ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেই। আর নদীর গভীরতা প্রায় ৩০ ফুটের কাছাকাছি।
তিনি বলেন, ভাগ্যক্রমে মেয়েটির কাছেই ছিলাম। আর তাই তাকে নদী থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। মেয়েটিকে তীরে নিয়ে আসার সময় নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। সহকর্মীকে ধন্যবাদ তিনি মৎস্যজীবী এবং নৌকা তৈরি করে রেখেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারেনি। মা-বাবার কাছে বকাঝকা খাওয়ার পরই আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় সে। তবে এএসআই মাণিক্যালা রাও-এর সহযোগীতায় প্রাণ ফিরে পায় ছোট্ট মেয়েটি।