ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল। কাউন্সিলকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে সাতক্ষীরা। ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুনে নান্দনিক শোভায় শোভা পাচ্ছে সাতক্ষীরা শহর। ইতোমধ্যে জেলা ৭টি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। বাকী আছে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। এ কাউন্সিলকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। পছন্দের ব্যক্তিকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে আনতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করছেন কর্মী সমর্থকরা। তবে সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের অনেকেই এখনো প্রার্থী হওয়া না হওয়া নিয়ে মুখ খোলেননি। যদিও এসব প্রার্থীদের অনেকের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালাতে দেখা গেছে।
সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী। সম্মেলনে সমঝোতার ভিত্তিতে মুনসুর আহমেদকে সভাপতি ও মোঃ নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। যদিও দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে কমিটির ৭ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেন।
এবারের সম্মেলনে জেলা কমিটির সদস্য, ৭টি উপজেলা ও একটি পৌরসভা থেকে মোট ৩৪১ জন কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন কমিটি নির্বাচিত হওয়ার কথা। তবে সারাদেশের কোথাও এবারের সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়নি। সব জেলাতেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তথা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কমিটি ঘোষণা করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের প্রতিটি কমিটির ৩৩ ভাগ সদস্য নির্বাচিত হবেন নারীদের মধ্য হতে। কিন্তু কোথায় সেটি অনুসরণ করা হয় না। তবে ধীরে ধীরে কমিটিতে নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুটি পদে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই থাকছেন, নাকি নতুন কেউ আসছেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের দু’একজন ছাড়া কেউ মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও তৃণমূল পর্যায়ে সভাপতি হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান। তবে, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নামেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চলতে দেখা গেছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, এক সময়ের ডাকসাইটের ছাত্র নেতা আ. হ. ম তারেক উদ্দীন, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণ-আন্দোলনে নেতা শেখ সাহিদ উদ্দিন, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্রের নাম।
এদিকে যাদের নামে প্রচারণা শুরু হয়েছে তাদের অধিকাংশের রয়েছে ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের গৌরবোজ্জ্বল অতীত। তাদের রয়েছে ব্যাপক সুখ্যাতি। তাদের কারো কারো হাত ধরে জেলার উন্নয়ন হয়েছে।
Check Also
ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …