ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার বহুদিন ধরে জেলে। দুই সপ্তাহ আগে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় কারাগারে রয়েছে ছাত্রদলের আরেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। জেলে থেকেও পুলিশের নাশকতা মামলার আসামি হয়েছেন ছাত্রদলের এই দুই নেতা।
১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সামনে তিনটি মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৩৫ জন নেতাকে আসামি করে মামলা করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। এর মধ্যে একটি মামলার ২৩ নম্বরে নাম রয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের, আরেকটি মামলার ৫২ নম্বরে ইসহাক সরকারের নাম।
বুধবার বিকালের ঘটনার পর রাতে যখন মামলা করা হয় তখনো এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুরিশ। আজ শুক্রবারও কেউ গ্রেপ্তার নেই এই মামলায়।
আগে থেকে জেলখানায় আটক ছাত্রদল নেতার আসামি হওয়া নিয়ে পুলিশের দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি মামলার বাদি পুলিশের একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) দাবি, যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের এই ঘটনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি পাওয়া গেছে। আর জেলে থাকা যাদের নাম এসেছে তারা সেখান থেকে বসে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তাদের নাম এজাহারে রাখা হয়েছে।
রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, বিষয়টি তারা যাচাই করে দেখবেন।
জেলে থেকে ছাত্রদলের দুই নেতা কীভাবে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, `তারা কি কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে গাড়ি পুড়িয়েছেন? তিনটি মোটরসাইকেল পোড়াতে ১৩৫ নেতার প্রয়োজন পড়ল?’
হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেল পোড়ানো সরকারের বিশেষ বাহিনীর পরিকল্পিত কাণ্ড বলে দাবি রিজভীর। বলেন, ‘বুধবার মধ্যরাতে সরকার তাদের খয়ের খাঁ পুলিশকে দিয়ে আমাদের ১৩৫ জন নেতাকে আসামি করে মোটরসাইকেল পোড়ানোর উদ্ভট দুই মামলা করেছে। হাইকোর্ট এলাকায় বেওয়ারিশ দুই মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। এটি বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য সরকারের বিশেষ বাহিনীর পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ