ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ প্রথম ধাপে একাত্তরে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও স্বাধীনতাবিরোধী ১০ হাজার ৭৮৯ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই তালিকা জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। জীবনের মায়া ত্যাগ করে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এমন অনেকেরই নাম রয়েছে এই তালিকায়। আবার একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে বা দণ্ডপ্রাপ্ত এমন আলোচিতদের নামই নেই এ তালিকায়।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারের এই তালিকায় প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপের এই তালিকায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, কাদের মোল্লা, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ আলোচিত অনেকে।
অথচ এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধার খোঁজ মিলেছে, যারা একাত্তরে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। এর বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে পরিচিত বেশ কিছু আওয়ামী লীগ নেতার এসেছে। এছাড়া নারী রাজাকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন ৩৮ জন। হিন্দুধর্মাবলম্বীর ৯২ জনের নামও এসেছে তালিকায়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডারের নামও যুক্ত হয়েছে রাজাকারের তালিকায়।
ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তালিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন নেটিজেনেরা। আরও ভালো করে যাচাই বাছাইয়ের পর এটা প্রকাশ করা উচিত ছিল বলে মনে করছেন তারা।