ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বিদেশগামীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হয়, সেজন্য প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বলতে চাই, শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের দিকে দৃষ্টি দিয়ে অযথা কর্মীদের বিদেশে পাঠাবেন না।’
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (এমপি), জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস’র (বায়রা) সভাপতি বেনজির আহমেদ (এমপি), প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশ প্রধান জিওর্জি গিগৌরি বক্তব্য রাখেন। খবর, ইউএনবি’র।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর এজেন্টরা গ্রাম-বাংলার মানুষকে বিদেশে সোনার হরিণ পাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। ফলে সহজে প্রতারণার শিকার হয়ে তারা সবকিছু ছেড়ে বা বিক্রি করে বিদেশে চলে যায়। তিনি বলেন, যারা এটি করেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, জনগণের সাথে প্রতারণাকারী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘এমনকি বিদেশেও যারা শ্রমিক নেয়ার জন্য প্রতারণ করে, আমরা ওই দেশকে অনুরোধ করবো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, যাতে এ জাতীয় ঘটনা না ঘটে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশে চাকরীপ্রার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এখন চাকরি থেকে শুরু করে সব কিছু যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ আছে, তাই দালালের খপ্পরে না পড়ে বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে দেখবেন।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বিদেশগামী কর্মীদের জন্য বীমা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং তাদের কাছে বীমা পলিসি হস্তান্তর করেন।
সেই সাথে বিদেশগামী শ্রমিকদের ৩ হাজার ২২২ মেধাবী সন্তানদের উপবৃত্তি হিসাবে প্রায় ৪.৫ কোটি টাকা বিতরণের অংশ হিসাবে দুই মেধাবী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির চেক হস্তান্তর করেন।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে দুজনকে বিদেশে সিআইপি কার্ড প্রদান করেন। চলতি বছরে ৪২ জনকে সিআইপি কার্ড দেয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি মর্যাদা পেতে হলে বছরে কমপক্ষে এক লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠাতে হয়। যে বছরের জন্য সিআইপি নির্বাচিত করা হবে, তার আগের অর্থবছর বৈধভাবে দেশে এক লাখ ডলারের বেশি পাঠানো অনিবাসী বাংলাদেশিদের তালিকা থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষকে সিআইপি মর্যাদা দেওয়া হবে।