ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাতক্ষীরা এল্লারচর এলাকায় ফিংড়ী রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে হরিলুটের মহাউৎসব শুরু হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় বুলবুলির তান্ডবে হেলে পড়া গাছের সাথে ভাল গাছও কেটে নিয়ে যাচ্ছে জেলা পরিষদের সদস্য মিলির আস্থাভাজন সালাম ব্যাপারী। অথচ পড়ে যাওয়া গাছ গুলো সংরক্ষণের নামে বিক্রয় করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। যে কারনে জেলা পরিষদ হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
গতকাল বেলা ১২ টার দিকে সরজমিনে ঘটনা স্থলে যেয়ে দেখা যায়, এল্লারচর এলাকার ফিংড়ি রোডে ধুলিহর এলাকায় কাঠ ব্যবসায়ী সালামের লেবাররা বাবলা গাছ ও কয়েকটি আকাশমনি গাছ কেটে গুড়িগুলো তিনটি ইঞ্জিন ভ্যানে লোড দিচ্ছে। যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষাধিক টাকারও বেশি। তাদের কাছে
কার কাঠ জানতে চাইলে লেবার আজগার আলী, জিয়ারুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান আমরা সালাম ব্যাপারীর লোক। কাঠ কোথায় যাবে জানতে চাইলে লেবাররা জানান সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে নিয়ে যাওয়া হবে।
কিন্তু সংবাদ কর্মীদের কাছে খবর ছিল কাঠ সালাম ব্যাপারী ধুলিহর এলাকায় নিয়ে যাবে। তাই তারা গা ঢাকা দিয়ে এলাকায় অবস্থান নেই। কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল ভ্যান ভর্তি কাঠ নিয়ে ঠিকই লেবাররা জেলা পরষদের পরিবর্তে উল্টো পথে ধুলিহরের রামচন্দ্র পুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নামিয়ে রাখছে।
ঘটনা স্থলে গিয়ে সংবাদ কর্মীরা লেবার আজগর আলীর কাছে কাঠগুলো জেলা পরিষদে না নিয়েএখানে নামাচ্ছেন। জবাবে আজগরসহ অন্যরা জানান সালামের নির্দেশে কাঠ নামাচ্ছি। এদিকে সাংবাদ কর্মীরা সালাম ব্যাপারীর সাথে ফোনে কথা হলে জানান, মিলি আপার কাছে ফোন দেন। দুপুর ২ টার দিকে গাছের গুড়ি জেলা পরিষদে না নিয়ে রামচন্দ্রপুর এলাকায় কেন জানতে চাইলে সালাম ব্যাপারী বলেন, জেলা পরিষদের লোকজন দাওয়াত খেতে গিয়েছে তাই কাঠ নিয়ে যায়নি। এ বিষয় জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহনাজ পারভীন মিলির কাছে কাঠ জেলা পরিষদে না নিয়ে উল্টো পথে ধুলিহর এলাকায় রাখার কারন জানতে চাইলে জবাবে তিনি জানান,যেখানে কাঠ যাক জেলা পরিষদে চলে আসবে। আমাদের নলেজে আছে,উরা আমাদের লোক। একাধিক এলাকা থেকে জেলা পরিষদের গাছ সালাম ব্যাপারী কেটে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। যা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেও সালাম ব্যাপারীর লাগাম যেন কেউ আটকাতে পারছে না।তার খুটির জোর কোথায় জানতে চাই এলাকার সচেতন মানুষ।