ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: ২০১৭ সালে বাংলাদেশে দূষণজনিত কারণে অকাল মৃত্যুর শিকার হয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ। পুরো বিশ্বজুড়ে এ সংক্রান্ত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ লাখের বেশি মানুষের। বিশ্বজুড়ে মোট মৃত্যুর ১৫ শতাংশই হয়েছে দূষণের কারণে। ওই বছরে দূষণজনিত কারণে অকাল মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া এশিয়ার মধ্যে দেশটির অবস্থান তৃতীয়। তবে প্রতি ১০ হাজার মানুষে অকাল মৃত্যর হিসেবে ১২৬তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বায়ু দূষণজনিত কারণে হওয়া অকাল মৃত্যু বিবেচনায় বাংলাদেশের স্থান বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম। গ্লোবাল এলায়েন্স অন হেলথ অ্যান্ড পলিউশন (জিএএইচপি) এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষণজনিত কারণে অকাল মৃত্যুর হার হিসেবে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় নাম রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও দরিদ্র কিছু দেশের।
প্রতিবেদন অনুসারে, দূষণজনিত কারণে অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ভারতে। মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষ ১০ দশের তালিকার অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে, চীন (১৮ লাখ ৬৫ হাজার), নাইজেরিয়া (২ লাখ ৭৯ হাজার), ইন্দোনেশিয়া (২ লাখ ৩২ হাজার), পাকিস্তান (২ লাখ ২৩ হাজার), বাংলাদেশ (২ লাখ ৭ হাজার), যুক্তরাষ্ট্র (১ লাখ ৯৬ হাজার), রাশিয়া (১ লাখ ১৮ হাজার), ইথিওপিয়া (১ লাখ ১০ হাজার) ও ব্রাজিল (১ লাখ ৯ হাজার)।
প্রসঙ্গত, জিএএইচপি হচ্ছে বিশের দূষণ ও স্বাস্থ্যের মাত্রা নিয়ে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ২০১২ সালে বিশ্ব ব্যাংক, ইউরোপিয়ান কমিশন, জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা, বিশ্বের ২৫ই নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন অলাভজনক সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত হয় জিএএইচপি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে বিষাক্ত বায়ু, পানি, মাটি ও রাসায়নিক দূষণের কারণে এত অকাল মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে আরো বলা হয়, দূষণজনিত কারণে অকাল মৃত্যু ধূমপানে মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। ধূমপানে ২০১৭ সালে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ লাখ।
এদিকে, বাংলাদেশে দূষণজনিত কারণে মোট অকাল মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বায়ু দূষণের কারণে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বায়ুদূষণজনিত কারণে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৭৩৪ জন। এছাড়া, পানি দূষণজনিত কারণে অকাল মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৮৩ জনের, সীসা দূষণজনিত কারণে অকাল মৃত্যু হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৮ জনের ও ব্যবসায়ীক দূষণে এমন মৃত্যুর শিকার হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৫৮ জন।