ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। সারাদেশে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি ও সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ভারতের উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ চলাকালীন ১১ জন নিহত হলেও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কোনোভাবেই ‘একটি বুলেটও ছোড়া হয়নি’ বলে দাবি করছেন রাজ্যটির পুলিশ প্রধান।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের চালানো গুলিতেই এসব বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয় রাজ্যের পুলিশ।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। দিল্লিতে কারফিউ জারি থাকলেও সেখানে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
মুসলিমদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বহু শিক্ষার্থী এবং বেসামরিক নাগরিক রাজপথে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।উত্তরপ্রদেশের অনেক মানবাধিকার কর্মী জানিয়েছেন যে, পুলিশ তাদের বাড়ি এবং কার্যালয়ে অভিযান চালাচ্ছে। নতুন করে সমাবেশ বা বিক্ষোভে যেন তারা অংশ না নেন সেজন্য তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যেসব অমুসলিম ‘ধর্মীয় নিপীড়নের’ শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের নাগরিকত্ব দিতেই এই আইন আনা হয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিক্ষোভে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশ শত শত বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ শনিবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।সূত্র: আল জাজিরা