ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র ঐক্য। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেন তারা। এছাড়া একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও শাস্তি নিশ্চিত, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ, হামলার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানানো হয়। আজ দুপুর ৩টায় ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশের ডাক দেয়া হয় প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।
গতকাল দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করে সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র ঐক্য। এরপর তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। শিক্ষা-সন্ত্রাস এক সাথে চলে না, দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেব রক্ত; রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়-এমন নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে ডাকসুর সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সমন্বয় করে হামলা করেছে। আমাদের দেয়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাদ্দাম ও সনজিতের নেতৃত্বে হামলা করে। তাদের বিচার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। এই হামলার সিসিটিভি ফুটেজ আছে, এই ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ না দিলে প্রশাসনের লেজুরবৃত্তি প্রকাশিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো বড় ঘটনা ঘটলো, প্রক্টর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। তাকে পদত্যাগ করতে হবে। এই হামলার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মদত রয়েছে। তারা এই দায় এড়াতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই হামলার সঙ্গে জড়িত।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম নৃশংস হামলা কীভাবে হয়? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রশাসন নেই? নাকি প্রশাসন নিজেই হামলার মদতদাতা? প্রশাসনের যদি কোন প্রশাসনিক পদক্ষেপ থাকতো তবে এই নৃশংস ঘটনা ঘটতো না।
আকতার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামীকাল (আজ) বিকাল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সচেতন নাগরিকের হিসেবে প্রত্যেকের উপস্থিতির আবেদন করি। আর আমাদের দাবি মানা না হলে সারাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।