ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গেট বন্ধ করে ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
সোমবার মধ্যরাতে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
রোববার ডাকসু ভিপি নুরুল হককে তার কক্ষে ঢুকে লাইট বন্ধ করে বাঁশ ও রড দিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এই মঞ্চের অনেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাদের মধ্যে গতকাল রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
ঘটনার সময় হামলাকারীরা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন। সুহেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সুহেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কয়েক দফা মারধরের শিকার হন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারাবী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন এবং ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সমর্থক শতাধিক নেতাকর্মী রড, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুপুরে এ হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে তুহিন ফারাবি আইসিইউতে, ভিপি নুরুল হক নুর ৩৫ নম্বর কেবিনে আর সোহেল, ফারুক ও আমিনুর ৩৬ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন।
এই পাঁচজনের চিকিৎসার বিষয়ে নয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, নিউরো সার্জারির অধ্যাপক ডা. রাজিউল হককে প্রধান করে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বোর্ড মিটিং করে পাঁচজনের চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে।