ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ভবনের ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলা এ পি এম সুহেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্র) রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মেডিকেলের সার্জারি বিভাগে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়।
বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহত সুহেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের ঘনিষ্ট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা।
গত রোববার ডাকসু ভবনে ভিপি নুরের কক্ষের বাতি নিভিয়ে সঙ্গীসহ ভিপি নুরকে রক্তাক্ত করা হয়। ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা বর্বর এ হামলা চালায়। এদিনই সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।
পরে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলে। এখানে চিকিৎসাধীন অন্য সবাই অনেকটা সেরে ওঠলেও সুহেল শঙ্কামুক্ত নয় বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিল চিকিৎসকরা। এরপর রাতে তার মাথায় সার্জারি করা হয়।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়ামিন মোল্লা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জানান, এ পর্যন্ত দুবার সুহেলের মাথায় সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে সার্জারি হওয়ার পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
রোববার হামলায় আহত ২৪ জন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলেন। এখন ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তারা হলেন- ভিপি নুরুল হক, তুহিন ফারাবী, মেহেদী হাসান, আমিনুর ও নাজমুল ইসলাম।
এ হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভিপি নুর। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরের পক্ষে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
এছাড়া নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতা আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদী হাসান শান্তকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।