ক্রাইসবার্তা রিপোটঃ জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান, তার সহযোগী সাতক্ষীরা সদর সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি’র ‘আমার এমপি ডট কম’ এর এ্যাম্বাসেডর আকাশ ও অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তারকৃত পিচ্চি রাসেলকে পর্ণোগ্রাফি ও অস্ত্রসহ তিনটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার বিকেল ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাবাদে তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হারান চন্দ্র পাল জানান।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অস্ত্র ও পর্ণোগ্রাফির দুটিসহ তিনটি মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার টিয়াখালি গ্রামের আলমাস হোসেনের ছেলে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরে বসবাসকারি আমার এমপি ডট কম এর এ্যাম্বাসেডর আকাশ ইসলাম ও পিচ্চি রাসেলকে সদর ও আশাশুনি উপজেলার দু’ইউপি চেয়ারম্যানের দায়েরকৃত পর্ণোগ্রাফিসহ চাঁদাবাজি ও সদর থানায় গোয়েন্দা পুলিশের দায়েরকৃত একটি অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিন করে রিমা- আবেদন জানানো হয়। গত ২৬ ডিসেম্বর তিনটি মামলায় শুনানী শেষে আদালত সাদিককে চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করে। একইসাথে আকাশ ও পিচ্চি রাসেলকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রেজোয়ানুজ্জামান।
তিনি আরো জানান, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামীদের শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে জেলা কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সাদিক ও তার সহযোগীরা যে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে সে সম্পর্কে পুলিশের কোন ধারণাই ছিল না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পাওখালিতে বিকাশ এজেন্টের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার কলাবাগান থেকে গ্রেপ্তার হন জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান ও উত্তর পলাশপোলের সুমাইয়া আক্তার সুমি। এই মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি এবং নারী লোভ দেখিয়ে ভিডিও ধারণ করে ব্লাক মেইলিং করে আশাশুনির এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে যথাক্রমে পাঁচ লাখ ও চার লাখ করে টাকা আদায়ের ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। এছাড়া অস্ত্র ও ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার হওয়া পিচ্চি রাসেল ও হাফিজুর রহমান বাবু গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন ১৪ ডিসেম্বর। এছাড়া কালিগঞ্জের বিকাশ এজেন্ট এর ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাদিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আকাশ ও সুমি পৃথক মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।