ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ ঐক্য ও শান্তির প্রতীক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের রয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এই প্রেসক্লাবের রয়েছে দৃঢ় নৈতিক সাহস। এই সাহসের ওপর ভর করে সত্যকে আঁকড়ে ধরে মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করতে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়েছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। আগামি দিনগুলিতেও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব শান্তির প্রতীক হিসেবে এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের আশ্রয় হিসেবে এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশ্যা ব্যক্ত করেছেন নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেছেন কোনো বিভক্তি বিভাজন নয়, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব এক ও অভিন্ন পথে এগিয়ে যাবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রভাবে প্রভাবান্বিত না হয়ে প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছেই থাকবে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা উঠে আসে সাংবাদিক বক্তাদের মধ্য থেকে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের স ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় তার স্বাগত বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় তিনি বলেন, পেছনের কথা ভুলে প্রেসক্লাবকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই। আমরা গণমানুষের ঠিকানা হিসেবে নিজেদের পরিচিত করে তুলতে চাই। সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী তার বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করে বলেন, এক বছরের চলার পথে সব সফলতা সাংবাদিকদের, আর সব ব্যর্থতা তার নিজের। এরপরই অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন পেশ করেন আর্থিক লেনদেনের হিসাব নিকাশ। এর আগে গত সাধারণ সভার সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
হাস্যরস ও প্রাণবন্ত আলোচনার মধ্যে এই দুটি রিপোর্টের চুলচেরা বিশ্লেষণে ত্রুটি বিচ্যূতি চিহ্নিত করে সাংবাদিক সদস্যরা তা করতালির মধ্যে অনুমোদন করেন। এছাড়া কিছু ত্রুটি বিচ্যূতি সংশোধন করে অনুমোদিত হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। আলোচনায় উঠে আসে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠণতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত হবে। চলতি মাসে পিকনিকের দিন ধার্য করে আগামি ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর রহমান, দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিবুর রহমান, দৈনিক যুগেরবার্তা সম্পাদক আনম আবু সাঈদ, বাসস’র অরুণ ব্যানার্জি, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক আবদুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাসেম, নির্বাহী সদস্য দৈনিক করতোয়ার সেলিম রেজা মুকুল, লোক সমাজের শেখ মাসুদ হোসেন, দৈনিক কল্যাণের কাজী শওকত হোসেন ময়না, ভোরের কাগজের ড. দিলীপ কুমার দেব, বাংলাদেশ বেতারের ফারুক মাহবুবুর রহমান, দৈনিক প্রবাহর খায়রুল বদিউজ্জামান, চ্যানেল এস’র রবিউল ইসলাম, দৈনিক আজকের প্রত্যাশার আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, নির্বাহী সদস্য দৈনিক খোলা কাগজের ইব্রাহীম খলিল, দৈনিক যুগের বার্তার আমিনুর রশীদ, ডিবিসি নিউজের এম জিল্লুর রহমান প্রমূখ।
এদিকে নতুন সদস্য অন্তভুক্তি না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছে কয়েকশত সাংবাদিক।