র‌্যালি শোভাযাত্রাসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাতক্ষীরায় মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা কাউন্টডাউন  শুরু

আবু সাইদ বিশ্বাস: ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা:  বর্ণাঢ্য আয়োজন, বিপুল উপস্থিতি ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরায়  হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন  শুরু হয়েছে। দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে শুরু হয়ে  র্বণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে যেয়ে শেষ হয়। দুপুর ২.৪৫ টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। দুপুর ২.৫০ টায় সমবেত কন্ঠে শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। দুপুর ২.৫৫ টায় বিজয় ফুলের বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ।

র‌্যালিটির নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি প্রমুখ।  র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেষার কয়েক হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

পরে এক আলোচনা সভায় বক্করা বলেন ১০ জানুয়ারি  ইতিহাসের একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন ইতিহাসের বরপুত্র স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। একই সাথে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে  শুরু হল ক্ষণগণনা। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন গ্রহণ করে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি।

ন্যায় আয়োজনে  সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয় দিবসটি।   ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ডে বর্ণিল সাজানো হয়  জেলাকে।শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ককে সাজানো হয়  সুন্দর মনোরম পরিবেশে। স্টেজ, প্যান্ডেল ও সুদৃশ্য গেট নির্মাণ করা হয়। ছোট পতাকা দিয়ে এবং লাইটিং করে সাজানো হয় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক। সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা পৌরদীঘির চারিপাশে জ্বলবে আলোর প্রদীপ। পৌরদীঘির মাঝখান বরাবর বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিকৃতিতে দেখা যাবে ঝলমলে আলোর ফুয়ারা। সাতক্ষীরা জেলায় ক্ষণগণনা কার্যক্রম চলাকালীন ও র‌্যালি প্রদক্ষিণকালীন সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও থাকছে মাঠে। শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ক্ষণগণনা যন্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যানজট নিরসনে প্রস্তুত ট্রাফিক পুলিশ। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। জেলার সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও গ্রহণ করেছে পৃথক পৃথক কর্মসূচি। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুজিব বর্ষ পালনে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নেয়।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।